একবিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। কিন্তু বয়স্কদের চিকিৎসা পরিষেবা সুলভ হয়নি। এবার প্রবীন নাগরিকদের হাতের নাগালেই জেরিয়াট্রিক পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
শুধুমাত্র প্রবীনদের জন্যই এবার রাজ্যে গড়ে উঠতে চলেছে বিশেষ সরকারি হাসপাতাল। রোগী দেখার জন্য নিযুক্ত থাকবেন জেরিয়াট্রিশিয়ান(বয়স্করোগ বিশেষজ্ঞ)-রা। পাশাপাশি ১০টি জেলার সদর হাসপাতালে স্বয়ংসম্পূর্ণ জেরিয়াট্রিক ওয়ার্ডের পাশাপাশি ব্লক স্তর পর্যন্ত জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক চালু করার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের সবকটি হাসপাতালে জেরিয়াট্রিক আউটডোর বিভাগ খোলার কথাও ভাবা হচ্ছে।
এখন হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক রয়েছে। সরকারি স্তরে একমাত্র এসএসকেএম হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে সপ্তাহে দু’দিন বয়স্কদের জন্য চলে জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, জেরিয়াট্রিক হাসপাতাল গড়ার জন্য প্রাথমিকভাবে সল্টলেকে একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘সল্টলেকে একটা জেরিয়াট্রিক হাসপাতাল গড়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেরিয়াট্রিশিয়ান ডাঃ দীপঙ্কর দেবনাথ বলেন, ‘এখন সব হাসপাতালেই ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বয়স্ক রোগী আসেন। সকলের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। আর সরকারি হাসপাতালেও নিয়মিত ভিড় বাড়ছে। তাই প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে বয়স্কদের আলাদা ক্লিনিক প্রয়োজন। শুধু সল্টলেক নয়, আরও অনেক জায়গাতেই বয়স্কদের ক্লিনিক বা হাসপাতাল দরকার।’