রাজ্যে কাজের অগ্রগতি কেমন? কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা কতটা পৌঁছচ্ছে প্রান্তিক স্তরে? জনতা কেমন সাড়া দিচ্ছে? রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কী কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে? দেশের ১৫টি রাজ্যের দলীয় মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে এইসব প্রশ্নের উত্তর চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ১৫ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ৭ জন উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় দিল্লীতে বিজেপির সদর দপ্তরে। সেখানেই এই মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সভাপতি অমিত শাহ। একদিকে যেমন আগামী বছর লোকসভা ভোট, অন্যদিকে দেড় বছরের মধ্যে একঝাঁক রাজ্যে বিধানসভার ভোটও হবে। চলতি বছরেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোট। আগামী বছর হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের পৃথকভাবে বিধানসভা ভোট নিয়ে দলের অবস্থা কী, তার ফিডব্যাক দিতে বলা হয়েছে।সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁদের রাজ্যে লোকসভা ভোটে কতগুলি আসন পাবে বিজেপি বা এনডিএ? শুধু মুখে বললে হবে না। প্রত্যেককে একটি লিখিত হিসেব দিতেও বলা হয়েছে।
বৈঠকে মোদীর তোপের মুখে পড়েন কয়েকজন দলীয় মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, সেইসব রাজ্যে কেন্দ্রীয় কিছু প্রকল্প ইতিবাচকভাবে রূপায়িত হয়নি। কয়েকটি রাজ্যে আবার আইনশৃঙ্খলার উদ্বেগজনক অবনতি ঘটেছে। কিছু রাজ্যে দলিত ও কৃষকদের ক্ষোভ কেন সামাল দেওয়া যাচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মোদী। আগামী কিছুদিনের মধ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু করা হবে। সেই প্রকল্পকে রাজ্যবাসীর মধ্যে প্রচার করা এবং প্রতিটি বাসিন্দা যাতে সেই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর এমন বৈঠক হয়। কিন্তু, বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মঙ্গলবারের এই আলোচনা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর এটিই বিজেপির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। প্রয়াত নেতাকে স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।