নিজেস্ব বোর্ড না থাকা সত্ত্বেও আর্থিকভাবে অনেকটাই চাঙ্গা হয়ছে সমবায় দপ্তরের অধীনস্থ সংস্থা বেনফেড। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের সংস্থার লাভের পরিমান ১৩ কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশা করছে কতৃপক্ষ। বাম আমলে এই সংস্থার লোকসানের পরিমান ৩৮ কোটি টাকাই পৌঁছেছিল, সেই লোকসান কাটিয়ে গত কয়েক বছর ধরে লাভ করছে সংস্থা।
নিচের স্তরে সমবায় সংস্থাগুলির নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় নির্বাচিত বোর্ড নেই বনফেডএ । ফলে চেয়ারম্যান পদ ফাঁকা পরে রয়েছে। কয়েক মাস আগে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় স্পেশাল অফিসার হিসেবে সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। সমবায় দপ্তরের সচিব এম ভি রাও সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন।
বনফেডের মূল ব্যবসা হল সার কেনাবেচা ও সরকারি উদ্যোগে চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা ।
সমবায় সংস্থাগুলির মাধ্যমে চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনে সংস্থা। ধান কেনার কমিশনের থেকে আয় হয় সংস্থার। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ধান কেনার মাধ্যমে সংস্থা প্রায় ১১কোটি টাকা লাভ করেছে প্রায় ৫১ লক্ষ টন ধান সংগৃহিত হয়েছে বনফেডের মাধ্যমে। এর মূল ৮০৫কোটি টাকা চাষীদের ধানের দাম বাবদ ৭৩১ কোটি টাকা মেটানো হয়েছে। ধান কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়ার পাশপাশি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে হয়েছিল ।
ইফকোর কাছ থেকে সার এনে তা চাষীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে বনফেড। সারের ব্যাবসাও বেড়েছে।
২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ২৫৯ কোটি টাকার সার বিক্রি করেছিল বনফেড। ২০১৭-১৮তে তা বেড়ে হয়েছে ২৭০কোটি। সার থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আয়ের আশা করেছে সংস্থা। তবে বেনফেডের কর্মী সংগঠনের দাবি, সংস্থার লাভ আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত বনফেড এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষি উপকরণ বিক্রি করে বড় আয়ের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই ব্যবসা কমে গিয়েছে। মাত্র ৩১ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে গত আর্থিক বছরে। স্যারের ব্যবসায় সমস্যা আসছি। ইফকো ঠিকমতো সার সারবাহ করতে না পারায় চলতি আর্থিক বছরে বিক্রি কমে গিয়েছে। প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে সংস্থা গুদাম তৈরি করার জন্য জেলায় জেলায়। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে সমস্যা হচ্ছে। সংগঠনের বার্ষিক সভায় এই অবস্থা নিয়ে আলোচনা।করা হয়। তবে কতৃপক্ষর তরফে আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে আগামী দিনে এর আয় আরো বাড়বে।