দু’হাজার উনিশে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরতেই হবে নরেন্দ্র মোদীকে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বাংলার প্রিয় নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। রঘুনাথগঞ্জের সম্মতিনগরে এক জনসভায় এ কথা জানান পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, সামনের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীশূন্য হবে মুর্শিদাবাদ জেলা। এই জেলায় থাকা তিনটি লোকসভা আসনেই জিতবে তৃণমূল। শুধু মুর্শিদাবাদেই নয়, গোটা রাজ্য বিরোধীশূন্য হবে। রাজ্যে ৪২টি আসনেই জিতবে তৃণমূল।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা, বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, মহম্মদ আকরুজ্জামান, আমিরুল ইসলাম, আবু তাহের প্রমুখ। শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘বাঙালির স্বপ্ন পূরণ হবে ২০১৯–এ। একজন বাঙালি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এবার উনিশে হবেন একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদ জেলায় সিপিএম হারিয়ে গেছে। কংগ্রেসকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হচ্ছে। আর কংগ্রেসের যিনি কাণ্ডারী আছেন অর্থাৎ অধীরবাবু, তিনি বিজেপি–র দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এত উন্নয়ন করছেন। সরকারের দেওয়া পরিষেবা প্রতিটি পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন তিনি দেখতে পান না। তঁার শুধু একটাই কাজ, মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করা।’ সভায় বিজেপি–কে তীব্র কটাক্ষ করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছে বিজেপি। কিন্তু তঁারা জানে না এই বাংলা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্র, নজরুলের বাংলা। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই।’
এ ছাড়া, এদিন বহরমপুর সার্কিট হাউসে পথদুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকাও তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী। শনিবার দু’টি পথদুর্ঘটনায় মৃত ৪ জনের পরিবারকে দেওয়া হল দু’লক্ষ করে টাকা। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাইক দুর্ঘটনায় দাদপুরের বিমল ঘোষ, বাবুসোনা ঘোষ ও পল্টু প্রামাণিক এবং ওই রাতেই হরিহরপাড়ায় মৃত্যু হয় লিটন শেখের। এখানে শুভেন্দু বলেন, ‘৪ বছর আগে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ ছিল কংগ্রেসের। গত দেড় বছর আমাদের। বিগত ৪ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। দেড় বছরে ব্যাপক কাজ হয়েছে। উলগানাথন জেলাশাসক হয়ে আসার পর কাজের জোয়ার হু–হু করে বাড়ছে। কন্যাশ্রীতে দ্বিতীয়। বাংলা আবাস যোজনায় এগিয়ে। আরও কাজ হবে।’