ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্রশিল্প দপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী স্টেট এমএসএমই কনক্লেভ। আজ এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও এই সম্মেলনে ৫০০০-এরও বেশী ক্ষুদ ও মাঝারি শিল্প সংস্থা অংশগ্রহণ করছে।
সম্মেলন শুরুর আগে জেলায় জেলায় বৈঠক ও রোডশোর আয়োজন করেছে দপ্তর। এ বছরের থিম হল ‘গন্তব্য বাংলা’।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
- ক্ষুদ্র শিল্প আরও বাড়াতে এখন থেকে আমরা মার্কেটিং করব। যত রপ্তানি বাড়বে, ব্যাবসার সম্ভাবনা তত বাড়বে, লাভ বাড়বে।
- ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পর্যটনকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের এখানে পর্যটন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের এখানে নদী আছে, সমুদ্র আছে, গভীর জঙ্গল আছে, পাহাড় আছে।
- যেখানে যেখানে পর্যটন হাব আছে, সেখানেও যাতে আপনাদের (ক্ষুদ্র শিল্প) পণ্য বিক্রী করা যায়, সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।
- ব্যাঙ্ক ঋণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাঙ্ক ঋণ চাইলেও শিল্প সংস্থারা ঠিকমত পায় না। ব্যাঙ্ক ঋণের ওপর জোর দিতে হবে। আমরা রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করছি।
- নোটবাতিলের ফলে একটা মন্দাবাজার তৈরী হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্র খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জিএসটির মাধ্যমেও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত।
- আমরা ইতিমধ্যেই কিষাণ ক্রেডিট কার্ডধারকদের ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ঋণ দেওয়া শুরু করেছি। ক্ষুদ্র শিল্পকেও ঋণ দেওয়া যায় কি না, দেখা হচ্ছে।
- তরুণ ও নতুন উদ্যোগপতিদের উৎসাহ দিতে হবে। আমরা তাদের দক্ষতা প্রশিক্ষণও দিচ্ছি। প্রতি বছর ৬ লক্ষ বেকারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
- ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর, তপশিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন দপ্তর, পরিবহণ দপ্তর কিছু কিছু উদ্যোগপতিদের সাহায্য করতে পারে। এক জানালা নীতির মাধ্যমে যদি অন্তত ১০০০ তরুণ উদ্যোগপতিকেও সাহায্য করা যায়, আমরা দেখব। এর ফলে আরও নতুন উদ্যোগী এগিয়ে আসবে।
- মহিলা উদ্যোগীদেরও সামনে নিয়ে আসতে হবে। এখন শিল্পের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। একসময় যেসব জিনিস বিলাসিতা ছিল, আজ সেসব জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।
- বস্ত্র শিল্প অনেক বেড়েছে, অনেক নতুন ধরনের কাপড় তৈরী হচ্ছে। কৃষি বিপণনে অনেক সুযোগ বেড়েছে।
- ভাবনা প্রত্যেকের আছে। আপনাদের এক একটা ভাবনা দিয়ে একেকটা নতুন দিক খুলে যেতে পারে।
- বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এবার থেকে একদিন থাকবে ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য।