জয় হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কস কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সদর দফতর দিল্লীতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি সংস্থাটির চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাইয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল জোরালোভাবে। অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে কলকাতাতেই থাকছে হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কস কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। চাকরি যাচ্ছে না কোনো অফিসারের বা কর্মীর। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই যে এই সাফল্য এসেছে এমনটাই দাবি তাঁদের। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে কৃতজ্ঞতার ফুলও।
কলকাতা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা হিন্দুস্থান ষ্টীল ওয়ার্কার্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের হেড অফিস দিল্লীতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল কেন্দ্র সরকার। কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদে বিষয়টি ঝুলে থাকে কয়েক মাস।
একদিকে যেমন সদর দপ্তর সরানোর ছক কষেছিল তারা, তেমনই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলিয়ে রেখেছিল। এর ফলে আতঙ্কিত ছিল হাজারেরও বেশী কর্মী। এই বিষয়ে লোকসভায় যখন প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, তাঁর জবাব পর্যন্ত কেন্দ্র ঠিকমতো দেয়নি।
ইস্পাত মন্ত্রকের আওতায় থাকা রাস্ট্রায়ত্ব সংস্থা হিন্দুস্থান ষ্টীল ওয়ার্কার্স ১৯৬৪ সালে পথচলা শুরু করে, যার মূল অফিস হেস্টিংসে। এখান থেকেই দেশের ২৬টি শহরে সংস্থার শাখা অফিসগুলি পরিচালনা করা হয়। সংস্থার কর্মীদের বক্তব্য, মূলত ষ্টীল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার হরেক কাজের জন্যই এই সংস্থাটি তৈরী করা হয়েছিল, যা পরবর্তীকালে ইস্পাত শিল্পের বাইরে পরিকাঠামো গড়ার কাজে হাত দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই সংস্থাটিকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। এ ছাড়া নতুন ভবনের জন্য এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কসবায় জমিও দিয়েছেন তিনি।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তারা এই খবরটা জানানোর পর থেকে স্বস্তিতে ফিরেছে কর্মীরা। হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কস-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি সন্তোষ মজুমদার জানিয়েছেন যে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে দিল্লি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ানোয় আমরা খুশি। আশা করি সংস্থাটি তার সুনাম বজায় রেখেই কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার সন্তোষ বাবু ফুলের তোড়া সহ সুখবরটি মুখ্যমন্ত্রী কে দিয়ে এসেছেন । রাজ্যের সুনাম যেন বজায় থাকে তারও পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।