এবছর পুজোয় হবে চীন ভ্রমণ! কার্স্ট পাথরের বনভূমি। প্যাগোডা, কুংফু, লায়ন ডান্স। আর চপস্টিক দিয়ে পেট পুরে নুডলস। সঙ্গে চীনা সুন্দরীদের গলায় চাইনিজ গান। দুর্গা পুজোয় সল্টলেকের বিজে ব্লকে এভাবেই হয়ে উঠবে এক টুকরো চীন। এই রূপান্তরে সাহায্য করছে কলকাতার চীনা কনস্যুলেট খোদ।
শুক্রবার এ বিষয়ে কলকাতায় চীনের কনসাল জেনারেল মা ঝানয়ু বলেন, ‘এই প্রথম কলকাতার কোনও পুজো আয়োজনের বিষয়ে চীনের কনসাল জেনারেলের তরফে এভাবে এগিয়ে আসা হয়েছে। হুলু তৈরি করতে যাতে তাদের কোনও অসুবিধা না হয়, সে কারণে ইতিমধ্যেই চীনে ঘুরে এসেছেন উদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধি দল। দু দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক যাতে আরও সুদৃঢ় হয়, সেটিই আমাদের উদ্দেশ্য।’ ডোকালাম নিয়ে ভারত আর চীনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। তার মধ্যেই বিজে ব্লকের তরফে এভাবেই সম্প্রীতির বার্তা। আগমনীর উৎসবে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের জয়গান।
হিন্দি-চিনি ভাইহাই দেখাতে বিজে ব্লকের পুজো মণ্ডপে উপস্থিত থাকবেন দুই দেশের শিল্পীরা। বিক্রি হবে ভারতীয় এবং চীনা খাবার। পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে বাংলার মানুষের সামনে চীনা কলাকুশলীরা তাদের সংস্কৃতি প্রদর্শন করবেন। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না বিজে ব্লকের পুজো উদ্যোক্তারা। কমিটির সভাপতি সম্রাট পাল বলেন, ‘গত বছর আমরা কনসাল জেনারেলকে জানিয়েছিলাম তাদের সংস্কৃতি আমাদের প্যান্ডেলে ফুটিয়ে তুলতে চাই। সেইমতো জুন মাসে আমাদের ৫ জনের একটি দল চীনের ইউনান প্রদেশে যায়। আমাদের এই প্যান্ডেলে একটি হুলু ছাড়াও তৈরি করা হবে একটি চীনা গ্রাম।’
মা ঝানয়ু বলেন, ‘দুর্গা চীনে পরিচিত। সেখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানে তিনি শত্রুকে পরাজিত করেন। চীনের ২০ জনের একটি দল এই পুজোয় যোগদান করবেন। চীনের নাগরিকরা আরও বেশি করে এই পুজোর সঙ্গে পরিচিত হবেন।’ ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে কলকাতায় সেরা দুর্গা পুজোর উদ্যোক্তাদের কলকাতায় চীনের কনসাল জেনারেলের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়েছে। চীনের ‘লায়ন ডান্স’ বিভিন্ন প্যান্ডেলে প্রদর্শিত হয়েছে।