গোটা কেরল জলের তলায়। রাস্তাঘাট থইথই। এদিকে পানীয় জলের অভাব প্রকট। দূর্বিষহ জনজীবন। ১৪টি জেলার মধ্যে ১৩টিতে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বন্যায় আটকে পড়েছেন বহু মানু্ষ। উদ্ধারকার্যে নেমেছে সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল। কেরলের অবস্থায় উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। শনিবার টুইটে কেরলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। বন্যায় মৃতদের পরিবারের প্রতি জানিয়েছেন সমবেদনা। লিখেছেন, ‘শুধু শব্দ যথেষ্ট নয়। তবুও এই মুহূর্তে কেরলে বসবাসকারী আমার সকল ভাইবোনকে বলতে চাই, তোমাদের জন্য আমরাও ভাবছি। তোমাদের জন্য আমরা সবসময় প্রার্থনা করছি। যে সমস্ত পরিবার তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা। কেরলে বন্যার সঙ্গে যাঁরা লড়াই করছে, তাঁরা যেন নিজেদের শক্ত করে’।
এদিকে কেরলে এখনও নাগাড়ে চলছে বৃষ্টি। আরও বৃষ্টি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দপ্তর। বন্যা বিপর্যস্ত কেরলে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৪ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চেন্নাগুর ও অরনমুলায়। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে শুক্রবারই কেরল পৌচেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেরলে বন্যা পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
চেন্নাগুরের বিধায়ক সাহায্যের জন্য আর্তি জানিয়েছিলেন শুক্রবার রাতেই। তিনি জানিয়েছিলেন উদ্ধারকাজ না শুরু হলে প্রায় ১০,০০০ জনের জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার সকালে চেন্নাগুর থেকে ইতিমধ্যে ৪০ জনকে উদ্ধার করেছে সেনা। এর্নাকুলাম ও পালাক্কাডেও দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালিয়ে প্রায় ৮২, ৪৪২ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। মোট ২০৯৪টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার। থিরুভাল্লা, মাভেলিক্কারা,হরিপ্পড, কোচি ও অলুভাতেও চলছে উদ্ধারকাজ। কোডাগুতে উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
উদ্ধার ও ত্রাণকাজে গতি আনতে বৈঠকে বসেছিল জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সেনা, নৌসেনা, উপকূলবাহিনী এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা পর্ষদের কর্মীসংখ্যা ও সরঞ্জাম আরও বাড়ানো হবে।