এ যেন উলটপুরাণ! স্বামী অগ্নিবেশ বিজেপি-র ঘরের ছেলে হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু ‘পরিবারর সদস্য’দের হাতেই এমন হেনস্থা হতে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি। বিজেপি-র সদরদপ্তরের সামনে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক বেধড়ক মারধর করে সন্ন্যাসী, সমাজকর্মী স্বামী অগ্নিবেশকে। সমাজকর্মীর অভিযোগ, ওই যুবকেরা বিজেপি-রই কর্মী। এমনকি সেখানে উপস্থিত পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। এরপরেই শোনা গেছে ভূতের মুখে ‘রাম নাম’। সব দেখেশুনে অগ্নিবেশের মনে হয়েছে, সমাজে হিংসা এবং ইনটলারেন্সের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নতুন দিল্লিতে বিজেপি-র সদরদপ্তরের সামনে স্বামী অগ্নিবেশকে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ৭৯ বছরের স্বামী অগ্নিবেশকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
প্রয়াত প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন বিজেপির সদরদপ্তরে আসছিলেন অগ্নিবেশ। তিনি বলেন, ‘দপ্তরের কাছাকাছি আসতেই প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন বিজেপি কর্মী আমাকে ঘিরে ধরে ধাক্কা মারতে থাকে। আমার পাগড়ি পড়ে যায়। আমাকে মারতে মারতে ওরা ‘বিশ্বাসঘাতক বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিৎকার করছিল। সামনে পুলিশ থাকলেও আমার সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি’। সেই ভিড়ে কয়েকজন মহিলাও তাকে চটি দিয়ে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অগ্নিবেশ।
এদিন দলের অফিসে অগ্নিবেশের আসার কথা বিজেপি নেতা-কর্মীদের অজানা ছিল না। তাঁর কথায়, ‘আমার আসার কথা নেতা হর্ষবর্ধনকে আগেই জানিয়েছিলাম। তারপরেও এমন অনঅভিপ্রেত ঘটনা ঘটল।‘ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন এই সমাজ কর্মী। এরপরেই বিরক্ত অগ্নিবেশ বলে দেন, ‘আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তাতেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এদিন আবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল। সমাজে হিংসা আর ইনটলারেন্সের পরিবেশ তৈরি হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে ‘ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা’র কর্মী-সমর্থকেরা বেদম মারধর করেছিলেন অগ্নিবেশকে। এই ঘটনাতেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।