শোকাহত…। এছাড়া আজ আমার কাছে আর কোনও অনুভূতি নেই। অটলজি প্রয়াত। একজন সত্যিকারের রাষ্ট্রনেতা, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, তার থেকেও বড় মনের মানুষ। যেদিন আমার কালীঘাটের বাড়িতে এলেন, মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন… বিশ্বাস হচ্ছিল না। এত বড় মাপের মানুষ, অথচ কী অবলীলায় না আমার ছোট্ট ঘরে ঢুকে বসে পড়লেন! সেদিন বুঝেছিলাম, এই মানুষটাই পারেন সবাইকে নিয়ে চলতে। পেরেওছিলেন। প্রথম জোট সরকার যা ছ’বছর স্থায়ী হয়েছিল। ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে যা প্রথম। ’৯৮ সালের সেই সরকারে তৃণমূল কংগ্রেসও ছিল। কারণ একটাই, অটলজি উদার ছিলেন… কোনও ভেদাভেদ করতেন না। তাঁর শাসন ছিল অভিভাবকের মতো। আজকের যে এনডিএ সরকার ভারতের গেরুয়াকরণে মেতেছে, তার মতো নয়। তাই তাঁর এই প্রয়াণ গোটা দেশের কাছে বিরাট ক্ষতি। আজ শুধুই স্মৃতি ভিড় করছে। অত্যন্ত স্নেহ করতেন আমাকে। জোটের মধ্যে যখন ছিলাম, তখন তো বটেই। বিরোধিতার সময়ও। রাজনীতিক কিংবা দলের আঙ্গিকে নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ি আমাকে স্নেহ করতেন মানুষ হিসেবে। যা কখনও ভোলার নয়। শুধু তিনি নন, অটলজির পরিবারের সঙ্গেও ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বহু বছর তিনি কর্মক্ষম ছিলেন না। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এসেছিলাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। কথা বলতে চাইছিলেন। কিন্তু পারছিলেন না। বুঝছিলাম, অনেক কিছু বলার আছে তাঁর। কথা বলতে না পেরে তাঁর যতটা কষ্ট হতো, ততটা আমারও। মন ভার হয়ে আসছে। অটলজির পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম অটলজিকে।
(সংগৃহীত)