কলকাতার এটিএম ইস্যুর বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে আজ সংসদে মন্তব্য করলেন অর্থমন্ত্রী পীযূস গোয়েল। আর এত বড় একটা কাণ্ডের খবর দেশের অর্থমন্ত্রীর কাছে না থাকায় সরকারকে চেপে ধরল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় কক্ষেই এ ব্যাপারে সরব হল তারা। লোকসভায় তৃণমূলের পাশাপাশি কলকাতার এটিএম কাণ্ড এবং বিদেশি চক্র জড়িয়ে থাকার অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করল কংগ্রেসও।
রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থমন্ত্রকের এক সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্নে সুযোগ পেয়ে কলকাতার এটিএম কাণ্ড নিয়ে সরকারকে চেপে ধরেন তৃণমূল এমপি মানসরঞ্জন ভুঁইঞা। অর্থমন্ত্রী পীযূস গোয়েলকে তিনি বলেন, কলকাতায় এটিএম থেকে টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে? রোমানিয়ার একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েকজন রোমানিয়ার নাগরিক ধরাও পড়েছে। কিন্তু এভাবে এটিএমে রাখা টাকা লুঠ হয়ে গেলে আদতে দেশের অর্থনীতিতে তো চাপ পড়বে। মানসবাবুর মুখে এই ঘটনার কথা শুনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্কে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। আমাকে তথ্য দিন। দেখছি। মন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য শুনে পরে মানসবাবু বলেন, এ কোন সরকারের হাতে চলছে দেশ? এত বড় লুঠ হয়ে যাচ্ছে আর খোদ অর্থমন্ত্রী বলছেন, কিছু জানি না! মানুষের গচ্ছিত অর্থ লুঠ হয়ে যাওয়া নিয়ে সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই বলেই অভিযোগ করেন তিনি।
এটিএম কাণ্ড নিয়ে লোকসভায় সরব হন অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জিরো আওয়ারে বিষয় নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে অধীরবাবু বলেন, এই কি ডিজিটাল ইন্ডিয়া? স্কিমার লাগিয়ে এটিএম থেকে টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে? তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক সার্ভিস ট্যাক্স নেয়। অথচ জনগণকে সার্ভিস দেওয়ার বদলে মানুষের টাকা যে এটিএম থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কোনও খেয়ালই নেই কেন? তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ব্যাঙ্ক যেভাবে লুট হচ্ছে, তাতে সরকারের নিরুত্তাপ হয়ে বসে থাকা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। কেবল কলকাতাই নয়। দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদেও এটিএম থেকে টাকা লুঠের ঘটনার ঘটেছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ দেশের সব ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিন। সাধারণ মানুষের টাকার কোনও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।