এয়ার ইন্ডিয়ার বেহাল দশার খবর নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার প্রকাশ্যে বেসরকারি বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের বেহাল দশা। সংস্থাটি কর্মচারীদের জানিয়ে দিয়েছে, বেতন কমানোর প্রস্তাব মেনে না নিলে আগামী ৬০ দিনের মধ্যেই কোম্পানি লাটে উঠে যেতে পারে।
দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। কিন্তু গত প্রায় ২ বছর ধরে লাভের মুখ দেখেনি সংস্থাটি। উড়ানের খরচ এবং কর্মচারীদের বেতন দিতে দিতে ক্রমাগত দেনার ভারে তলিয়ে যাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ। উপায় না দেখে প্রায় বছর ২ আগে সংস্থার কর্মচারীদের ১৫ শতাংশ কম বেতনে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। বেশ কিছু কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বেশ কিছু কর্মী সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি হলেও পাইলটদের একাংশ তাতে রাজি হননি। যার জেরে নতুন বেতনকাঠামো তৈরি করতে পারেনি সংস্থা। কিন্তু এবার সংস্থার তরফে পাইলটদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কম বেতনের প্রস্তাব তারা স্বীকার না করে নেন তাহলে ২ মাসের মধ্যেই সংস্থাটি মাটি ধরবে।
বেতন কমানোর প্রস্তাব দেওয়ার আগে অবশ্য কোম্পানির তরফে রক্ষণাবেক্ষণ, বিজ্ঞাপন, জ্বালানী ইত্যাদি খাতে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনটি ব্যাংকগুলির কাছে ঋণের জন্যও আবেদনা করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসানের ফলে ডুবতে থাকা কোম্পানিকে কোনও ব্যাংক ঋণ দিতে রাজি হয়নি। এর ফলে আর্থিক অনটন দূর করার আর কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছে না। জেট এয়ারওয়েজ। ইতিমধ্যেই সংস্থার সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন আধিকারিকরা। তারপরই কর্মীদের কম বেতন গ্রহণ করার চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়।
শুধু জেট এয়ারওয়েজ নয়, এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বাকি বিমান সংস্থাগুলিতেও একই পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই সংস্থাটির বেসরকারিকরণের জন্য দুবার টেন্ডার ডেকেছিল সরকার। কিন্তু কোনও সংস্থায় লোকসানে ডুবে থাকা সংস্থাটি অধিগ্রহণ করতে আগ্রহ দেখায়নি।