বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়তে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। এবার ব্রিগেডে সমাবেশ করে সেই জোটের চেহারা সর্বসমক্ষে তুলে ধরতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় স্তরে বিরোধীদের জোট তুলে ধরতে ব্রিগেড প্যারেড ময়দান অতীতে ইতিহাস তৈরি করেছিল।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘একের বিরুদ্ধে এক’ প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়ে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল। গত কয়েকমাস ধরেই সর্বভারতীয়স্তরে এই বার্তা দিচ্ছেন দলনেত্রী স্বয়ং। তাঁর বক্তব্য, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী সেখানে সেই দলকে প্রাধান্য দিয়ে বিরোধী জোটের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই সংগঠিত করা হবে ফেডারেল ফ্রন্ট। এই ফেডারেল ফ্রন্ট-ই ২০১৯ সালে দিল্লির মসনদ থেকে বিজেপিকে উপড়ে ফেলবে।
আমন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন মমতা। সব ঠিক চললে এটাই সর্বকালের সেরা ব্রিগেড সমাবেশ হতে পারে বছর শুরুতেই। এই মুহূর্তে মমতার সঙ্গে বিরোধী নেতাদের খুব ভালো সম্পর্ক। এমনকি বিজেপির ভিতরের বিদ্রোহিরাও যে মমতার সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে সেটা এখন আর গোপন নেই।
সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, লালু প্রাসাদ যাদব, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, চন্দ্রবাবু নাইডু, নবীন পট্টনায়ক, স্তালিন, কেজরিওয়াল, চন্দ্রশেখর রাও, উদ্ধব ঠাকরে, দেবগৌড়া, কুমারস্বামী, ফারুক আবদুল্লা, শারদ পাওয়ার এর মত অধিকাংশ বিরোধী নেতারা মমতার সভায় যোগ দিতে চাইবেন।
রাম জেটমালানি, শত্রুঘ্ন সিনহা, যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, কীর্তি আজাদ, চন্দন মিত্র- আগামী ১৯শে জানুয়ারির মধ্যে সংখ্যাটা আরো বেড়ে যেতেই পারে। বিজেপির এই বিদ্রোহী ও বিরূপদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রমশ নরেন্দ্র মোদি- অমিত শাহ জুটির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার গতিবিধি, কর্মসূচি এখন কড়া নজরদারিতে। ঊনিশের ব্রিগেডে কারা আমন্ত্রিত হচ্ছেন, কারা যোগ দিচ্ছেন সেই নিয়ে এখন চিন্তায় গেরুয়া শিবির।
দেশজুড়ে মোদী বিরোধী রাজনীতিতে এই মুহূর্তে অনেকটা ‘কেন্দ্রীয় চরিত্রে’র ভূমিকা পালন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী বিরোধী অ-বিজেপি জোটের স্টিয়ারিংও তাঁরই হাতে। আগামী ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশকে মমতার প্রস্তাবিত ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই মমতার ‘উনিশে ১৯ দখল’-এর হুঙ্কারের মধ্যে যথেষ্ট গভীর তাত্পর্য রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।