শিলচর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিনিধিদের। কিন্তু তাঁদের এই প্রয়াসকে স্বাগত জানাচ্ছেন বরাকের আন্দোলনকারীরা। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম ছাঁটাই নিয়ে লড়ছে অসমের বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বিভিন্ন সংগঠন। এরকম ৪২টি সংগঠনের যুক্ত মঞ্চ হল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় কমিটি (সিআরপিসিসি)। উপযুক্ত জায়গায় বরাকের মানুষের দুর্ভোগ তুলে ধরার জন্য তৃণমূল সাংসদদের ধন্যবাদ জানিয়ে তারা একটি চিঠি লিখেছে। দীর্ঘ চিঠিতে বিশদে জানানো হয়েছে, এনআরসি গঠন এবং নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার নানাবিধ অসঙ্গতি। বলা হয়েছে, ২০০৩–এর নাগরিকত্বের নিয়মকানুন ২০০৯–এ সংশোধনের মাধ্যমে অসমের জন্য এক ব্যতিক্রমী ব্যবস্থার সূচনা হয়। বাকি ভারতের নাগরিকত্বের নিয়মকানুন থেকে যা আলাদা। সংশোধনীতে বলে দেওয়া হয়, ২০০৩–এর নিয়মের ৪ ধারায় যা আছে, তা অসমের জন্য প্রযোজ্য নয়। নাগরিক তালিকার অন্তর্ভুক্তির জন্য রাজ্যের সব বাসিন্দারই আবেদন বাধ্যতামূলক করা হয়। ১৯৭১–এর ২৪ মার্চের আগে পূর্বপুরুষের নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে এমন এক অবস্থা তৈরি করা হয়, যা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার ভারতীয় সংবিধানের একটি মূল নীতিরও পরিপন্থী। চিঠিতে ১৯৫৫–র নাগরিকত্ব আইনকে অক্ষরে–মর্মে তুলে ধরা–সহ একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়। তুলে ধরা হয় আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এনআরসি–র জটিল কার্যপ্রক্রিয়ার কথাও। সংগঠন মনে করে, সংবিধান এবং যথাযথ আইন মেনেই অসমের বিতর্কিত ‘বিদেশি’ ইস্যুর সমাধান খুঁজতে হবে। এবং এ বিষয়ে সংসদীয় নজরদারির জন্য তৃণমূল সাসংদদের উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।
![বরাকের গভীর কৃতজ্ঞতা তৃণমূলকে](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2018/08/f5734471-499b-4af9-b72f-087caae5f4bb.jpg)