সেতু তৈরিতে কাঠবেড়ালীর যা ভূমিকা, দেশকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাখার জন্য সেই ভূমিকা পালন করতে পারলে তার চেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার নেই, চাওয়ার নেই। কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। মানবিকতা ভালবাসি, তাই রাজনীতি করি। সবার আগে মানুষ, পরে রাজনীতি। সংগ্রামের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে চাই। শুক্রবার নিউ টাউনে এক অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
উপস্থিত হাজার দুয়েক পড়ুয়াকে লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে আরও সক্ষম হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কম্পিউটার, মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার যাতে শরীরে ক্ষতি না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এদিন নিউ টাউনে ‘স্বপ্ন ভোর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আচার্য–সহ বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানে তরুণ শিল্পোদ্যোগীদের সম্মান জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে ভাল অধ্যায় আন্দোলনের অধ্যায়। সংগ্রামের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে চাই। রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমি সমাজকর্মী। নারী–পুরুষে পার্থক্য করি না। আমি মানুষে বিশ্বাসী। সব ধর্ম, সম্প্রদায়ের মানুষকে ভালবাসি। বিভাজন করি না। এখানে যাঁরা উদ্যোগপতি আছেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে। এই সময় একটা বার্তাই থাকা উচিত— আমরা সবাই এক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পেছনের সারিতে বসতে ভালবাসি। যতদিন বাঁচব, এভাবেই চলব। এটাই আমার আশা।
এক দৃষ্টিহীন পড়ুয়া অনুরোধ করে, ব্রেইল অডিও পাঠাগার হলে তাদের পঠনপাঠনে সুবিধে হত। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে দেখার জন্য বলেন। অন্য এক পড়ুয়ার অনুরোধ, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্বল্পমেয়াদি ইনটার্নশিপ চালু করা যায় কি না। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণে।
দেশের উন্নতির প্রকৃত কান্ডারী যুবসমাজ। এরাই দেশের আগামী প্রজন্ম। তাই এই সমাজকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলেই দেশের প্রকৃত উন্নতি সম্ভব। পড়ুয়াদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি বলেন, ‘জীবন আছে বলে স্বপ্ন দেখতে হবে। নিজেদের দুর্বল মনে করলে হবে না। তোমাদের পারতেই হবে। আজকের প্রজন্ম রামধুনর মতো রঙিন।’