সীমান্তের এপারে আসামের এনআরসি খসড়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক। বিজেপির দাবি খসড়ায় যাদের নাম নেই তারা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। পুরো বিষয়টিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে অভিযোগ বিরোধীদের। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সমস্যার সমাধানের আর্জি বিভিন্ন মহলের।
এই প্রেক্ষাপটে প্রতিবেসী বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া, তালিকাহীন চল্লিশ লক্ষ মানুষই বাংলাদেশী নন। এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাতে কিছুই করার নেই শেখ হাসিনা সরকারের। বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানানো হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু-র তরফে।
কূটনীতিবিদদের দাবি এই বিবৃতির মাধ্যমেই এনআরসি ইস্যু নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলল প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। বুঝিয়েও দিল তাদের দেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
কলমের খোঁচায় আচমকাই নাগরিকত্ব হারানোর মুখে ৪০ লক্ষ মানুষ। প্রথম খসড়ার পর নাগরিক পঞ্জিতে নাম তোলার জন্য আবেদন করেন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ৷ দ্বিতীয় তালিকায় প্রকাশিত হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ মানুষের নাম৷ কার্যত রাতারাতি উদ্বাস্তু ৪০ লাখ৷ আশঙ্কার দোলাচলে খসড়ায় নাম না ওটা মানুষগুলো।।
অন্যদিকে, কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অসমে নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় খসড়ায় যে চল্লিশ লক্ষ মানুষের নাম নেই, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তাড়াতাড়ি করতে হবে নির্দিষ্ট পক্রিয়া। দেখতে হবে চল্লিশ লক্ষ মানুষ তালিকায় নাম তুলতে যেন ঠিক মতো সুযোগ পায়। ৮ অগাস্ট থেকে নিজেদের দাবিদাওয়া ও অভিযোগ জানাতে পারবেন। যা খতিয়ে দেখা হবে ৩০ অগাস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।