বিজেপির ‘মার্গদর্শক নেতা’ তিনি। আদতে মোদী-শাহের জমানায় দলে কোনঠাসা বর্ষিয়ান লালকৃষ্ণ আদবানী। বিরোধী জোট পোক্ত করতে নেমে বিজেপির ‘ব্রাত্য’ অটলবিহারী বাজপেয়ীর সেনাপতি লালকৃষ্ণ আদবানীর সঙ্গেও দিল্লিতে দেখা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এই সাক্ষাতকে মুখে ‘সৌজন্যে’র বলছেন মমতা। সূত্রে খবর, ঠিক কোথায় আঘাত হানলে বিজেপিকে নির্বাচনী মঞ্চে পরাস্ত করা যায়, সে বিষয়েও বিজেপির বর্ষীয়ান নেতার কাছ থেকে পরামর্শ নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ফেডারেল ফ্রন্টের রূপরেখা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি৷ কৌশলে যে এই সাক্ষাতের মাধ্যমে ১৯শের নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে মাথা ব্যাথা বাড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তা বলাই যায়।
লালকৃষ্ণ আদবানী ছাড়াও এদিন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ, জেডিএস প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া। সৌজন্য সাক্ষাত হয় সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চনের সঙ্গেও।
বিজেপিকে টেক্কা দিতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিরোধী ঐক্যের সুর বাঁধতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেশের ১৮টি অবিজেপি আঞ্চলিক দলের নেতা নেত্রীদের সঙ্গে কথা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর। সবাইকেই ব্রিগেডের সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আসামে এনআরসি-সহ নোটবন্দি-জিএসটি ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী নেতাদের বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচীও বাতলে দিয়েছিলেন তিনি। এবার রাজধানীর বুকে সর্বশক্তি দিয়ে জোট গঠনের প্রয়াস তৃণমূল নেত্রীর। যা বুঝিয়ে দিল বিরোধী জোটের স্টিয়ারিং তাঁর হাতেই।