আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে দেশজুড়ে ঘণীভূত হচ্ছে অসন্তোষ। বিরোধীদের তোপের মুখে যুক্তির জাল সাজাতে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কখনও ঢাল করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে, আবার কখনও দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভীষণভাবে সতর্ক কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সংসদে আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ তালিকার খসড়া নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, “ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। এখানে আশ্রয় নিতে পারে শরণার্থীরা কিন্তু পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে দেওয়া হবে না। নিজের জায়গায় তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সবরকম সহযোগিতা ভারত করবে। ” মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেন্দ্র ভীষণভাবে সতর্ক এবং কোনও রকম নমনীয় মনোভাব এক্ষেত্রে নেওয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, জম্মু–কাশ্মীর, হায়দরাবাদ ও তেলেঙ্গানায় বেশি সংখ্যায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন। এঁরা যাতে দেশের ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকেও কেন্দ্রীয় সরকার কড়া নজর রাখছে বলে দাবি করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে কথা বলে পরোক্ষে অসমের ৪০ লাখ বাসিন্দার ভবিষ্যত কী হতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন কিরেন রিজিজু। তাঁর মতে, “যাঁরা এই দেশে শরনার্থ হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এখানকার নাগরিক হতে পারবেন না। আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীতে যাঁদের নাম নেই তাঁরা যে পরোক্ষে এখনও দেশের নাগরিক নন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভোটে জিততে মেরুকরণের রাজনীতি গেরুয়া বাহিনীর ট্রাম্প কার্ড। সংসদে কিরেন রিজিজুর ভাষণেও কী সেই ইঙ্গিত-ই ধরা পড়ল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।