আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনসের দ্বিতীয় খসড় তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ইস্যুতে শাসক বিরোধী দ্বন্দ্বে সোমবার উত্তাল হয় রাজ্যসভা। এই তালিকায় বিজেপির বিশেষ উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হচ্ছে বলেই অভিযোগ তৃণমূল সহ সব বিরোধী সাংসদদের।
তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের অভিযোগ, “উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই মোদি সরকার ৪০ লাখ বাসিন্দার নাম জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। যাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁরা সকলেই সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য।” তাঁর মতে, আসাম দিয়ে শুরু হলেও দেশের বাকি রাজ্যেগুলিতেও এই কাজ করবে কেন্দ্র। পুরো বিষয়টি মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত বলে জানান রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।এই বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি করে তৃণমূল।
আসাম কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ রিপুন বরা অভিযোগ করেছেন, “৪০ লাখ বাসিন্দা নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারেননি এই যুক্তিটা মেনে নেওয়া অসম্ভব। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।”
বিরোধীদের হইহট্টোগোলের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিরোধীদের উদ্দশ্যে বলেন, “শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। এখানে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। অকারণে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে। অকারণে এই জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর তালিকা প্রকাশকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে।” বিরোধীদের বিরোধীতা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ রাজনাথ সিংয়ের।
যাঁদের নাম তালিকায় নেই তাঁরা পুণরায় আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর জন্য অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেও আসমবাসীকে আস্বস্ত করেছেন তিনি।
রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের বিরোধীতায় এদিন বেশ কয়েকবার মুলতোবি হয়ে যায় অধিবেশন। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রীর এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছেন না আসামের বাসিন্দারা।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=C6DESOStC3o[/embedyt]