রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম এসএসকেএম-এ হাসপাতালে চালু হতে চলেছে স্বতন্ত্র এবং পুরোদস্তুর ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ। আর পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম শুরু হতে চলেছে ‘এমডি ইন ইমার্জেন্সি মেডিসিন’ পাঠ্যক্রম। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়।
৮০টি শয্যা নিয়ে হবে এই নতুন বিভাগ। পুরুষ ও মহিলা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা মিলিয়ে ৪০টি শয্যা বর্তমানে আছে এসএসকেএম’এর ইমার্জেন্সিতে। ট্রমা সেন্টারে ইমার্জেন্সি বাড়ির দোতলার নিউ ক্যাজুয়ালিটি ব্লকের ৪০টি নিউরোসার্জারি শয্যা সরে গেলে, সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের আরও ৪০টি শয্যা। ফলে প্যাথোলজি বিভাগ, কিছু রোগ এবং রক্তপরীক্ষাকেন্দ্র বাদ দিলে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বাড়ির অধিকাংশটাই তখন চলে যাবে এমসিআই স্বীকৃত ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইমার্জেন্সি মেডিসিন’-এর আওতায়।
যে কোনও সরকারি হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ গল ইমার্জেন্সি। ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের এমডি পাঠ্যক্রম চালু হলে গোটা রাজ্যে ইর্মাজেন্সি পরিষেবায় আরও ভালোভাবে পরিচালনায় সুবিধা হবে। লোকবলের সঙ্গেই সামগ্রিকভাবে আরও আধুনিক ও দক্ষ করা যাবে জরুরি পরিষেবাকে। এসব ভেবে শুধু নামেই নয়, এবার মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া অনুমোদিত স্বতন্ত্র ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ ও তার এমডি পাঠ্যক্রম চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে পিজি।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইমার্জেন্সি মেডিসিন নিয়ে ডিএনবি পাঠ্যক্রম থাকলেও এমবিবিএস পাশ করার পর ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে এমসিআই স্বীকৃত এমডি পাঠ্যক্রম রয়েছে হাতেগোনা তিন-চারটি জায়গায়। সেখানে অ্যাক্সিডেন্ট ও ইমার্জেন্সি মেডিসিন— এই নামে এমডি পাঠ্যক্রম চলে। কিন্তু, বাংলা সহ গোটা পূর্ব ভারতে জরুরি চিকিৎসায় তিন বছরের এমডি পাঠ, কোথাও ছিল না। এবার সেই ঘাটতি মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।