নিরাপত্তা–সহ অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় ২২শে শ্রাবণের বদলে সেপ্টেম্বর মাসে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালা। বাংলাদেশ উৎসব থাকায় ওই সময়টাকেই বেছে নিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রকের যুগ্ম–সচিব মুজিবর আল মামন, কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সচিব মহম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ ভবনের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অনান্য আধিকারিকেরা। সেখানেই চূড়ান্ত হয় সিদ্ধান্ত।
এর আগে ২২শে শ্রাবণ রবীন্দ্র তিরোধান দিবসে সংগ্রহশালা–সহ বাংলাদেশ ভবন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেবার উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্বভারতী। কিন্তু নিরাপত্তা–সহ অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকারে উদ্যোগে ও বিশ্বভারতীর সহযোগিতায় শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনে তিন দিনের ‘বাংলাদেশ উৎসব’-এর আয়োজন করা হবে। সেই সময়ই বাংলাদেশ ভবনের সংগ্রহশালাটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
চলতি বছরের ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের দ্বারোঘাটন করেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশ ভবনের গ্রন্থাগার সকলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি সংগ্রহশালা। সেপ্টেম্বরে সর্বসাধারণের জন্য বিশ্বভারতীর উপহার বাংলাদেশ ভবনের গ্রন্থাগার।