নানান ইস্যুতে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।তাঁর মন্তব্য, ”মানুষের মতো গরুও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে বাঁচাতে চায় সরকার।”
দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে গোরক্ষকদের দাপাদাপি। দাদরি, আলোয়ারের পর উত্তরপ্রদেশের লখনৌ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে হাতরাসে মৃত মোষ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চারজনকে গণধোলাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সরব বিরোধীরা। ঘটনার পর মুখ খুলেছেন গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত যোগী আদিত্যনাথ। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গন্ধ পাচ্ছেন যোগীজী। গণধোলাইয়ের ঘটনা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর কথায়,”তিলকে তাল করছে কংগ্রেস। এই ঘটনাগুলিকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
সংসদে শিখ হত্যার স্মৃতি উস্কে কংগ্রেসকে নিশানা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কটাক্ষ ছিল, “১৯৮৪-র ঘটনা ছিল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণপিটুনির ঘটনা।” রাজনাথের সেই মন্তব্যকে ঢাল করেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে যোগীর প্রশ্ন, “১৯৮৪ সালে যা ঘটেছিল, তা গণধোলাই ছিল না?”
গো হত্যা বন্ধে ‘ধর্মীয় আবেগ’কেই হাতিয়ার করছেন গেরুয়া শিবির। এক্ষেত্রে হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ মনে করিয়ে দিয়েছেন, “সকলের আবেগকে সম্মান করাও প্রতিটি ধর্ম, সম্প্রদায় ও ব্যক্তির দায়িত্ব। মানুষকে বাঁচানো গুরুত্বপূর্ণ হলে গরুকে বাঁচানোও গুরুত্বপূর্ণ।”
যোগী মুখে বলছেন যা, বাস্তবে তাঁর প্রয়োগ করছেন কী? প্রশ্ন বিরোধীদের। তাদের যুক্তি, না হলে উত্তরপ্রদেশেই গত আড়াই বছরে কেন ঘটবে ১১টি গণপিটুনির ঘটনা? প্রশাসন কী তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ? অনেকেই আবার তাঁর এই ‘আবেগের সুরসুরিকে’ নিছক হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছেন।