কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে হঠাতে বিরোধী ঐক্য গড়তে মরিয়া কংগ্রেস। এবার মমতা-মায়াকেও প্রধানমন্ত্রী পদে মানতে রাজি রাহুল গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুল গাঁধীর নাম ঘোষণা করে দল যে বিরোধী শিবিরে আগে ভাগে কোনও অস্বস্তি তৈরি করতে নারাজ, তা আগেই স্পষ্ট করেছিল কংগ্রেস। এবার এক ধাপ এগিয়ে কংগ্রেসের বার্তা, বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা মায়াবতীর মতো কাউকে মেনে নিতেও দলের আপত্তি নেই।
বিরোধী জোটে রাহুলকে মধ্যমণি করে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। সঙ্গে সঙ্গেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছিলেন রাহুলকে। কিন্তু লালু-পুত্র তেজস্বী অন্য পথে হেঁটে বলে দেন, বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকেই। তারপরই অন্য সুর শতাব্দী প্রাচীন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের গলায়।
প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকে বসানো নিয়ে জল্পনা রয়েছে অনেক দিন ধরেই। মায়াবতীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সক্রিয়। আজ কংগ্রেসকে কার্যত সতর্কবার্তা দিয়ে দলিত নেত্রী বলেছেন, আসন বণ্টন ঠিক মতো না হলে জোট হবে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুলের বার্তা, বিজেপিকে রুখতে তিনি নমনীয় প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রিত্বের থেকেও এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপিকে হারানো। কংগ্রেস সভাপতি মনে করেন, তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন। ফলে আরএসএসের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে জটও কেটে যাবে।
কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, ভোটের পরে আসনের নিরীখে বড় দল হিসেবে কংগ্রেস উঠে এলে অঙ্কের হিসেবেই জোটের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল। সে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা, বিরোধী জোটের উদ্যোগ চিন্তা বাড়িয়েছে মোদী, অমিত শাহদে। সেই কারণেই এখন তাঁরা আক্রমণাত্মক। তাঁদের হারাতে রাহুলের এখন একমাত্র লক্ষ্য বিজেপি-বিরোধী মসৃণ জোটের।