১৯শের লোকসভায় বিজেপি বিরোধী জোট গঠন করে লড়াই করতে চায় কংগ্রেস। কিন্তু তার আগেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসে রহুল গান্ধীর। সহমতের আগেই একতরফা কংগ্রেস বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করায় শুরু হয় জল্পনা। তবে কী জোটের আগেই প্রাধান্য বিস্তার শুরু করার খেলায় মাতল শতাব্দী প্রাচীন দলটা।
বিরোধী সম্ভাব্য জোটের দলগুলিকে স্বস্তি দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এখনই তারা রাহুলের নাম ঘোষণা করে বিরোধী শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করতে চায় না। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘রাহুলের নেতৃত্ব আজ না-হয় কাল বাকি সব দলকে মানতেই হবে। সেই হিসেবে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির আবেগের বার্তাটি সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বিরোধীদের জোটবদ্ধ করাটাই এখন অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে বিতর্কে সে কাজ বাধা পাক, কংগ্রেস তা চায় না।’’
তবে এই বিষয়ে বিরোধী অন্যান্য দলের তরফে তেমনভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি কেউ। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া বলেন, ‘‘কর্নাটকে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আছি। ফলে আমার এবং আমার দলের পক্ষ থেকে রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানতে দ্বিধা নেই।’’ লালু প্রসাদের দলের সাংসদ জয়প্রকাশ নারায়ণ যাদবও আজ বলেন, ‘‘বিজেপিকে হারাতে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে লড়ছে আর সেই জোটের পয়লা নম্বর নেতা রাহুলই।’’ সমাজবাদী পার্টির নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারির মতে, বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হবেন, ভোটের পরেই তা স্থির হবে। এনসিপি-র তারিক আনোয়ারের মতও একই।
জেডিএস, এনসিপি, আরজেডি, সপা, বসপা একথা বললেও টিডিপি, বিজেডি, টিআরএস কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট গঠনের কথা বলেছিল। বিজেপি বিরোধী ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের স্বার্থে তারা কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছে। কংগ্রেসের থেকে তাদের থেকে অনেক বেশী আস্থাশীল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানুয়ারীতে ব্রিগেডে মমতা বিরোধী রাজনৈতিক সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। সেখানেই ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শণ করবে বিরোধী শিবির। তার আগেভাগেই নিজেদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষনা করে জোট পক্রিয়া ভেস্তে দিতে রাজি নয় কংগ্রেস।