দেশ জুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা। সরব বিরোধীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করছেন নাগরিক সমাজ। এই প্রেক্ষাপটে সংসদে গণপিটুনি ইস্যুতে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
এদিন সংসদে বিরোধীরা সরকারকে নিশানা করে। সংসদ চত্বরেই ধর্ণা অবস্থানে বসেন তৃণমূল সাংসদরা। বিরোধীদের প্রবল চাপে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলতে চাই, সরকার এ ধরনের ঘটনায় শুধু উদ্বিগ্নই নয়, খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে এই ব্যাপারটিকে। দরকার হলে গণপিটুনি রোধে সরকার আইন আনবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
রাজস্থানের আলোয়ারে গোপাচারকারী সন্দেহে এক যুবকের গণরোষে মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে আলোড়ন চলছে। তাঁকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলার অভিযোগের মধ্যেই আবার দাবি করা হচ্ছে, পুলিশের গাফিলতিই মৃত্যুর হয়েছে। এমনকী পুলিশি হেফাজতে তাঁকে মারধরের অভিযোগও উঠছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার উত্তাল হয় সংসদ। ‘এই ধরনের ঘটনা রুখতে সরকার সোমবারই একটি কমিটি তৈরি করেছে বলে জানান রাজনাথ সিং। এই কমিটি গণরোষ, উন্মত্ত জনতার মারধর রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা সুপারিশ করবে। তিনি জানান, চার সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি মন্ত্রিগোষ্ঠীকে সুপারিশ সমেত রিপোর্ট পেশ করবে।
বিরোধীদের তোলা গণপিটুনির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উড়িয়ে দেন রাজনাথ সিং। কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে সংসদে তিনি দাবি করেন, ‘দেশে সবচেয়ে বড় গণপিটুনি হয়েছিল ১৯৮৪ সালে, যখন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর পাল্টা সেই সম্প্রদায়ের ওপর নির্বিচারে হামলা চলেছিল।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের প্রবল সোচ্চারের মাঝে কংগ্রেসকে নিশানা করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী।