কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যেই বাংলায় জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের বঞ্চনা স্পষ্ট।
প্রায় ৬১০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক রয়েছে বাংলায়। কিন্তু রাজ্যে অবস্থিত জাতীয় সড়কগুলির অবস্থা বেহাল। বর্ষায় সেই রাস্তার অবস্থা হয় কঙ্কালসার। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। হুঁশ ফেরেনি কেন্দ্রের। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় জাতীয় সড়ক কর্তপক্ষকে রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে চিঠি লিখেছেন একাধিকবার। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রাখেননি তারা। বাংলায় জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন মমতা। কিন্তু কর্তব্যে অবিচল থেকে মানুষের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের কোষাগার থেকেই সারানো হয়েছে জাতীয় সড়ক।
বাংলার প্রতি কী সত্যিই কেন্দ্র বঞ্চনা করছে ? মুখ্যমন্ত্রীর তোলা কেন্দ্রীয় অপর্যাপ্ত বরাদ্দকৃত অর্থের অভিযোগ কী সত্যি? সংসদীয় অধিবেশনে জাতীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখিত উত্তরে জাতীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী যা জানিয়েছেন তা অত্যন্ত দায়সারা। এই উত্তর থেকেই স্পষ্ট জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে ন্যায্য কেন্দ্রীয় অর্থ পাবে না বাংলা।
সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের ভিত্তিতে মন্ত্রীর লিখিত উত্তর, জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতি নিরবিচ্ছিন্ন পক্রিয়া। নির্দিষ্ট জাতীয় সড়কের ওপর পরিবহণের চাপ, সড়ক নির্মাণ ও মেরামতির অগ্রাধিকার এবং টাকার জোগানের উপর নির্ভর করে সম্পূর্ণ বিষয়টি। জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতিতে ২০১৮-১৯ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পনুযাই বাংলার জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় অর্থ ৯১০কোটি টাকা।
বরাদ্দকৃত কেন্দ্রীয় অর্থ কোনমতেই পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি রাজ্যের। এর মধ্যে বহু ক্ষেত্রেই বরাদ্দকৃত অর্থও মেলে না। মন্ত্রীর উত্তর থেকেই বাংলায় অবস্থিত জাতীয় সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কেন্দ্রীয় বঞ্চণা স্পষ্ট।