একদিকে রাজ্যে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক আধিপত্য, অন্যদিকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে দেশজোড়া বিরোধী ঐক্যের তৎপরতা। এই প্রেক্ষাপটে রজতজয়ন্তী বর্ষে ২১ জুলাইয়ের মাহাত্মই আলাদা। রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতির কথা মাথায় রেখে একাধিক বিরোধী দলের নেতা-জনপ্রতিনিধি থেকে ভিনরাজ্যের রাজনীতিক তৃণমূলে যোগ দিতে উদগ্রীব। সেক্ষেত্রে তাদের আবেদনে তৃণমূল নেত্রী সাড়া দেনকিনা তানিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে কংগ্রেস বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদান কার্যত নিয়মে পরিণত হয়েছে। সেই ধারা এবারও বজায় থাকার সম্ভাবনা। কংগ্রেসের জনাপাঁচেক বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে পা বাড়িয়ে রেখেছেন বলে সূত্রের খবর। সিপিএম ত্যাগী একাধিক নেতাও তৃণমূলে নাম লেখাতে উদ্যোগী।
বিজেপির টিকিটে দুই দফায় রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন চন্দন মিত্র। পেশায় সাংবাদিক চন্দনবাবু গত সপ্তাহে বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও সেই ইস্তফার কথা আনুষ্টানিকভাবে স্বীকার করেনি দল। তবে মমতার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত বলে গুঞ্জণ। ধর্মতলার সভামঞ্চে দিল্লির এই আদবানি-ঘনিষ্ঠ নেতাকে দেখা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই গুঞ্জণকে মান্যতা দিয়েছে চন্দন মিত্রকে নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতির করা মন্তব্য। ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ বলতে শুরু করেছেন, ‘চন্দন মিত্র আবার বিজেপি করলেন কবে? ওসব বোঝা অমিত শাহ ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন।’
চন্দন মিত্র হোক বা কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ককে দলে ঠাঁই দিয়ে মমতা বোঝাতে চাইছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যে বিরোধী শক্তির নেতারা একজোট হলেও মানুষের ভোটে জিতে আসা জনপ্রতিনিধিরা আছেন তাঁর সঙ্গেই।