শুক্রবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার উপর আলোচনা ও ভোটাভুটির সম্ভাবনা রয়েছে লোকসভায়। কিন্তু পরের দিন শনিবার ২১শে জুলাইয়ের কর্মসূচী থাকায় শুক্রবার ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূল সাংসদরা। তাই লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের কাছে ওই দিন অনাস্থার ওপর ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন করে তৃণমূল। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তারপরই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ২১শের সভা নিয়ে যতই ব্যস্ততা থাক না কেন, লোকসভায় আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোটাভুটির সম্ভাবনা থাকায় ওই দিন সব সাংসদদের লোকসভায় উপস্থিত থাকতে হবে। তাঁর এই নির্দেশ থেকেই পরিষ্কার তৃণমূল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আনা এই অনাস্থাকে অত্যান্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।
২০১৯এর আগে মোদী সরকারের শেষ বাদল আধিবেশনে সরকারপক্ষকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধীরা। তারই আঁচ পাওয়া গেল বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই । বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক বিরোধী তরজায় উত্তাল হল সংসদের দুইকক্ষ।
বিরোধীদের কাছে এই অধিবেশনের একটি বড় ইস্যু, গুজবের কারণে গণপিটুনিতে মৃত্যু। অধিবেশনের শুরু থেকেই লোকসভায় এই ইস্যুতে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ স্ট্যাটাসের দাবি, গণপিটুনিতে মৃত্যু, নারি নির্যাতন সহ একাধিক বিষয়ে লোকসভা কক্ষের ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ শুরু করে সমাজবাদী পার্টি ও তেলুগু দেশম পার্টির সাংসদরা। কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “যে সরকারের আমলে চাষিদের আত্মহত্যা করতে হয়, মেয়েদের প্রতিদিন ধর্ষিতা হতে হয়, সেই সরকারের বিরুদ্ধে আমরা অনাস্থা আনছি।” কংগ্রেস ও টিডিপি সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে। সেই প্রস্তাব সমর্থন করে তৃণমূল, আরজেডি, সমাজবাদি পার্টি, বামদল সহ সব বিরোধীরা। প্রাথমিকভাবে টিডিপির অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন সুমিত্রা মহাজন। পরে বিরোধীদের প্রবল চাপে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন। আগামী শুক্রবার এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে লোকসভায়। পরে হতে পারে ভোটাভুটিও।