পেলের পর প্রথম টিন এজার হিসেবে বিশ্বকাপে জোড়া গোল করেছিলেন কাইলিয়ান এমবাপে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ ষোলোতে ওই কৃতিত্ব গড়েন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল খেলে তো বটেই, গোল করে আবারও ব্রাজিলিয়ান গ্রেটের পাশে বসলেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার। এই বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন এমবাপে।
![পেলের পাশে এমবাপে 10 6551b983 5d42 4808 ad37 03b0ac0ca906](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2018/07/6551b983-5d42-4808-ad37-03b0ac0ca906.jpg)
![পেলের পাশে এমবাপে 11 e1d0f7d1 5091 438a 9bce 1737247cf9fa](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2018/07/e1d0f7d1-5091-438a-9bce-1737247cf9fa.jpg)
পেলের পর বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন এমবাপে। ৬৫ মিনিটে চতুর্থ গোল করেন ১৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
১৯৫৮ সালের ফাইনালে গোল করেছিলেন ১৭ বছর বয়সী পেলে। ৬০ বছর পর সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা হিসেবে তার পরে আছেন এমবাপে।
১৯৫৮ এর ফুটবল বিশ্বকাপ। গ্রুপ পর্বে গোল পাননি কোনো। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ফুটবল বিশ্ব নতুন এক তারকার সঙ্গে পরিচিত হয়। তিনি পেলে। তাঁর একমাত্র গোলে ওয়েলসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় ব্রাজিল। সেমিফাইনালে ১৭ বছরের সেই তরুণের হ্যাটট্রিক ব্রাজিলের ফাইনালে ওঠার জন্য যথেষ্ট ছিল।
ফাইনালে সুইডেনকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে সেলেসাওরা। আর সেই ম্যাচেও ছিল পেলের হ্যাটট্রিক। ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সী পেলের পর ৫৬ বছরে আর কোনো তরুণ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে জোড়া গোল করতে পারেননি। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে ভাঙলেন সেই রেকর্ড। শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এই তরুণ করেছেন জোড়া গোল।
সেখানেই থামলেন না। পেলের মতো ফাইনালেও করলেন গোল। বয়স উনিশের ঘরে থাকতে আর কোনো খেলোয়াড় ফাইনালে গোল করতে পারেনি। এমবাপ্পে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত। এখনই!
ফাইনালের একাদশে জায়গা পেয়েই ইতিহাস গড়েন ফ্রান্সের এই তরুণ। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের পেলে ও ১৯৮২ সালে ইতালির জিউসেপ্পে বারগোমির পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেললেন এমবাপে।