টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে এবং দলের সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি কিলিয়ান এমবাপে। তবে দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পেরে, দেশের মানুষকে খুশি করতে পেরে গর্ববোধ করছেন ফরাসি তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে ফ্রান্স।
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। গড়েন ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির পর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে গোল করার কীর্তি। তবে সেসব নয়, দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারার আনন্দই ফুটে উঠলো ম্যাচ শেষে এমবাপের কথায়।
“আমি খুব খুশি। লম্বা পথচলা ছিল কিন্তু এটা এমনটাই হওয়ার যোগ্য। ফরাসিদের খুশি করতে পেরে আমরা গর্বিত। তাদের সব সমস্যা ভুলিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা আমাদের ছিল। এ জন্যেই আমরা খেলি। আমি স্রেফ ফুটবল খেলতে চাই না, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে চাই; আমি আরও ভালো করতে চাই; তবে এরই মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা দারুণ।”
এমবাপের মতো টুর্নামেন্টটা দুর্দান্ত কেটেছে অঁতোয়ান গ্রিজমানের। ফাইনালে দুজনেই করেছেন গোল। টুর্নামেন্টে দুজনেরই গোল চারটা করে।
ইতিহাস গড়ার পর যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড গ্রিজমানের। ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে তর সইছিল না তার।
“জানি না আমি কোথায়! আমি সত্যিই খুশি। ম্যাচটা খুব কঠিন ছিল, ক্রোয়েশিয়া দারুণ খেলেছে।…শিরোপা তুলে ধরতে এবং ফ্রান্সে এটা ফিরিয়ে নিতে আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না।”
ম্যাচ শেষে একইরকম উচ্ছ্বাস ছিল ফরাসি অধিনায়ক লরিসের কণ্ঠেও। দেশকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতানোয় সতীর্থদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
“ফরাসিদের খুশি দেখতে পাওয়া, তাদেরকে হাসতে দেখা, তাদের অশ্রুসিক্ত দেখাটা দারুণ। আমরা এভাবেই আমাদের দেশকে দেখতে পছন্দ করি আর ফুটবলের সে শক্তি আছে। আমরা নিজেদের নিয়ে গর্বিত হতে পারি। অধিনায়ক হিসেবে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরা দারুণ এক পাওয়া।”