রাঁচিতে মিশনারিজ অব চ্যারিটি পরিচালিত ‘নির্মল হৃদয়ে’র নবজাতক বিক্রির অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তদন্ত শেষের আগেই মিশনারিজ অব চ্যারিটির নামে ‘শিশু পাচারে’র অভিযোগে সরব হয়েছে আরএসএস এবং বিজেপি। তারই প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমো।
ঝাড়খণ্ডের রাজ্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ও কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, কমপক্ষে চার নবজাতককে বেআইনি ভাবে বিক্রি করেছে রাঁচীর ‘নির্মল হৃদয়’। সিডব্লিউসি-র চেয়ারপার্সন রূপা বর্মার দাবি, ‘‘পুলিশ ধৃতদের জেরা করে চারটির মধ্যে তিনটি শিশুর হদিশ পেয়েছে। বাকি এক জনের সন্ধান চলছে। আমরা পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।’’ ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিজিপি ডি কে পাণ্ডের বক্তব্য, ‘‘পুরো রাজ্য জু়ড়ে ১২টি হোম আছে মিশনারিজ অব চ্যারিটির। ওই হোমগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই রাঁচীর নির্মল হৃদয় থেকে এক নবজাতককে বেআইনি ভাবে বিক্রির অভিযোগে দু’জন সিস্টারকে গ্রেফতার করে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
পুলিশের বাড়াবাড়ির সমালোচনা করছেন ক্যাথলিক বিশপ কনফারেন্স অফ ইন্ডিয়ার মহাসচিব বিশপ থিয়োড। তাঁর মতে, ‘‘বাচ্চা বিক্রির ঘটনায় নির্মল হৃদয়ের এক কর্মীর ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে। তবে নির্মল হৃদয়ের কোনও সিস্টার বাচ্চা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত নন।’’ একই যুক্তি দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘মিশনারিজ় অব চ্যারিটি বলতে মাদার টেরিজা বা সিস্টার নির্মলার কথা মনে পড়ে। একটি ঘটনা ঘটেছে, তাতে এক জন বা ব্যক্তিগত ভাবে কেউ দোষী হতে পারে। তা বলে একটি সংস্থাকে এ ভাবে জড়ানোটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ টুইটে মমতার আরও বক্তব্য, ‘‘বিজেপি কাউকে বাদ দিতে চায় না! নিন্দার ভাষা নেই।’’