ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ইতিহাস তৈরি করে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলল ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের আগে রাশিয়ার এক চিড়িয়াখানায় আজকের ম্যাচে যে ক্রোয়েশিয়াই জিতছে, তা ইঙ্গিত করেছিল একটি বাঘ। এদিনের নাটকীয় সেমিফাইনালের ম্যাচে বাঘের সেই ইঙ্গিতই সত্যি হয়ে গেল। দালিচের ছেলেদের কাছে হেরে ১৯৬৬ সালের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর স্বপ্নভঙ্গ হল থ্রি লায়ন্সদের।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য মাঠের রাজার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল হ্যারি কেনদের। খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় ত্রিপিয়েরের গোলে এককদম এগিয়ে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১-০ ব্যবধান তৈরি করে ফেলেন থ্রি লায়ন্সরা। শুরুর দিকে ইংরেজদের সাঁড়াশি চাপে খানিকটা বেসামালও হয়ে পড়েন ক্রোটরা। এরপর ৬৮ মিনিটের মাথায় ইভান পেরিসিচের গোল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ক্রোয়েশিয়া। ১-১ গোলে সমতা ফিরিয়ে নতুন উদ্যমে যেন খেলা শুরু করে ক্রোটরা। এরপর দু’দলের টানটান লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও কেউ কাউকে এতটুকুর জন্য জায়গা না ছাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ১০৯ মিনিটের মাথায় মান্ডুকিচের জয়সূচক গোলে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেয় ক্রোটরা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি থ্রি লায়ন্সরা। শেষমেশ চমক দেখিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখল ক্রোয়েশিয়া। আগামী রবিবার রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবেন মদ্রিচরা।