রিও অলিম্পিকের পর লিগামেন্টে মারাত্ম চোট পেয়েছিলেন ৷ তবে মনের জোর আর কঠিন অধ্যাবসায়ের জোরে ধীরে ধীরে ট্র্যাকে ফিরে আসছিলেন আগরতলার ২৪ বছরের জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার ৷ আর এই কঠোর অধ্যাবসায়তেই মিলল সাফল্য ৷ তুরস্কে জিমন্যাস্টিক বিশ্বকাপে সোনা জিতলেন দীপা ৷
অলিম্পিকের পর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক ইভেন্টে নেমেছিল দীপা। তুরস্কের মার্সিনে জিমন্যাস্টিক ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপের আসর বসেছিল। অংশ নিয়েছিলেন দীপা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীও। বিশ্বকাপে এটি দীপার প্রথম পদক।
রিও অলিম্পিকে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ স্থান দখল করেই থামতে হয়েছিল দীপাকে ৷ সেই আফসোস এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি এই বাঙালি জিমন্যাস্ট ৷ সেই আফসোস তুরস্কের মার্সিনে খানিকটা মিটিয়ে নিলেন দীপা ৷
তুরস্কের এই প্রতিযোগিতায় ১৩.৪০০ স্কোর করে যোগ্যতা অর্জন পর্বে দীপা সবার আগে ছিলেন। ফাইনালেও অন্য প্রতিযোগীদের ছাপিয়ে গেলেন এই বাঙালি কন্যা। ১১.৮৫০ স্কোর করে তৃতীয় হয়ে ব্যালেন্স বিম ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছেন দীপা। আরো একটি পদকের আশা তৈরি হয়েছে সে কারণেই। এই প্রতিযোগিতার পর এশিয়ান গেমসে অংশ নেবেন দীপা। ভারতের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হিসাবে এই শিরোপা পেলেন দীপা। তার এই সাফল্য ভবিষ্যতের জিমন্যাস্টদের আশা জোগাবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।