শিলিগুড়িতে বসেই এবার মিলবে সাফারির মজা। শিলিগুড়ির নতুন আকর্ষণ বেঙ্গল সাফারি পার্কে লেপার্ড সাফারি।
কুড়ি হেক্টর জমি জুড়ে বিস্তীর্ণ এই সাফারি। এখানে দেখা যাবে চারটি চিতাবাঘ – পাঁচ বছর বয়সি দুটি পুরুষ চিতা শচীন ও সৌরভ এবং এগারো বছর বয়সি দুঽটি স্ত্রী চিতাবাঘ শীতল ও কাজল। সাফারির নায়ক নায়িকাদের আনা হয়েছে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি থেকে। এছাড়া কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে তিনটি কুমিরও ছাড়া হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
সম্প্রতি লেপার্ড সাফারি এবং কুমির সাফারির উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, “ভারতবর্ষে এই প্রথম লেপার্ড সাফারি চালু হল।” বনমন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গে যত ধরনের প্রাণী আছে, সেগুলি বেঙ্গল সাফারি পার্কে প্রদর্শিত হবে।”
২০১৮-এর ডিসেম্বরের মধ্যে বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু তার আগেই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রথম পর্যায়ের জন্য খরচ ধার্য হয়েছিল ৭৮ কোটি টাকা। কিন্তু ৫০ কোটি টাকার মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের সব কাজ সম্পন্ন হয়েগেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সাফারি পার্কে প্রজীপতি পার্ক, স্বর্প উদ্যান, মাছের আ্যাকোরিয়াম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
শিলিগুড়ির নতুন আকর্ষণ এই লেপার্ড সাফারি। খুশি দর্শকরা। তবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও দর্শকদের এখনও অপেক্ষা করতে হবে কয়েক দিন। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নবাগতদের
এখনই দর্শকদের সামনে আনা হবে না।