‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন ফেরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশবাসীর প্রত্যাশার পারদ চড়িয়েছিলেন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়ার’ কথা বলে। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্ধোধন হয় অতি দ্রুত গতি সম্পন্ন অত্যাধুনিক বুলেট ট্রেন প্রকল্পের। কিন্তু সেই ট্রেন প্রকল্প সহ রেলের ‘উন্নয়ন মডেলকে’ই কটাক্ষ করলেন দেশের মেট্রো প্রকল্পগুলির মানোন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ই শ্রীধরন।
তাঁর কথায়, ‘বুলেট প্রকৃত অর্থেই বড়লোকদের ব্যবহারের একটি প্রকল্প। সাধারণ দেশবাসী এই প্রকল্প থেকে কিছু সুবিধে পাবেন না। সাধারণের স্বার্থে প্রয়োজন, আধুনিক মানের ট্রেন। যাতে মানুষের নিরাপদে যাতায়াত সুনিশ্চিত হয়।‘
বাজেট বিতর্ক থেকে প্রচার, মন্ত্রী থেকে বিজেপি নেতৃত্ব, পরিসংখ্যান দিয়ে প্রচারের চেষ্টা করেন মোদীর শাসনকালে দেশের রেল পরিষেবার উন্নতি হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের এই দাবি উড়িয়ে প্রবীণ এই ইঞ্জিনিয়রের যুক্তি, ‘বায়ো টয়েলেট বা কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতি হলেও ভারতীয় রেলের পরিষেবার মান খুব খারাপ। যেকোনও উন্নত দেশের তুলনায় ২০ বছর পিছিয়ে রয়েছে দেশের রেল পরিষেবা। বাড়েনি গতি, কমেনি রেল ট্র্যাকে বা প্রহরী বিহীন লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা।‘
সম্প্রতি দেশের বিভিন্নপ্রান্তে মেট্রোর মানউন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রক্তন এই ইঞ্জিনিয়র ই শ্রীধরনকে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেট্রো পরিষেবা মেক ইন ইন্ডিয়ার অন্তর্ভূক্ত হলে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি।‘
মূল্যবোধহীনতা, নীতিহীন রাজনীতির কারণেই স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে থমকে রয়েছে বলে মত ই শ্রীধরনের। ‘উন্নয়নের নামে ভাঁওতার রাজনীতি’ তাঁকে ব্যাথিত করে বলেও জানান তিনি।
মেট্রোর মানোন্নয়নের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে যাঁর হাতে, তিনিই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উন্নয় মডেল’কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। এক্ষেত্রে ‘মোদী এণ্ড কোম্পানি’ কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই নজর দেশবাসীর।