বয়স মাত্র ২৩। এই বয়সে নিজেকে আরও শাণিত করে তোলেন একজন ফুটবলার। কিন্তু এই বয়সেই ক্যারিয়ার থেমে গেল ইরান জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার সর্দার আজমুন! দেশের হয়ে ৩৬ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ২৩ গোল করা আজমুনকে ‘ইরানের মেসি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর মায়ের সম্মানের কথা চিন্তা করেই নাকি তার এই সিদ্ধান্ত। ঘটনার বিস্তারিত জানলে এক শ্রেণির ফুটবল দর্শকদের আচরণের নিন্দা জানাতেই হবে।
চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে খেলে ইরান। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। ৩ ম্যাচে ১টি করে জয়-ড্র এবং পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে ইরান। মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতলেও একই ব্যবধানে স্পেনের কাছে হেরে যায় তারা। আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী পর্তুগালের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ইরান।
এরপরই দেশটির ফুটবল প্রেমীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দলের সমালোচনায় মেতে ওঠে যার সিংহভাগ ছিল অশ্লীল গালাগালি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এটা ভালো লাগেনি আজমুনের। যে কারণে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে ফেললেন তিনি।
আজমুন বলেন, ‘ইরানের কিছু মানুষ আমাকে এবং দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের খুব বাজেভাবে গালিগালাজ করেছে। যা শুনে আমার মা অসম্মানিতবোধ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এটি মোটেও প্রত্যাশিত ছিলো না। তাই আমার মায়ের সম্মান ও তার শরীরের কথা ভেবে জাতীয় দল থেকে অবসর নিচ্ছি।’
এভাবে অবসর নেয়ার সিদ্বান্তটা হৃদয়বিদারক বলে মনে করেন আজমুন নিজেও। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যথেষ্ট ভালো খেলেও আমাদের বাজে কথা শুনতে হচ্ছে। শুধুমাত্র আমরা খেলোয়াড়রাই নই, আমাদের পরিবারকে শুনতে হচ্ছে। এভাবে অবসর নেয়াটা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক।’
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইরানের হয়ে ১১ গোল করেছিলেন আজমুন। তবে বিশ্বকাপের মূল আসরে গ্রুপ পর্বে কোন গোলই করতে পারেননি তিনি।