২০১১-১২ সালে যেখানে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পোৎপাদনের হার ছিল ২.২ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৯ শতাংশে।
শিল্পোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর কেটে গিয়েছে সাত সাতটি বছর। এই সাত বছরে রাজ্যে শিল্পে অগ্রগতির একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেখানেই শিল্পোৎপাদনের এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, এই রাজ্য থেকে বার্ষিক রপ্তানির আর্থিক হার ৭১১ কোটি মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৮২৫ কোটি মার্কিন ডলার। বৃদ্ধির হার প্রায় ১৬ শতাংশ। অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র সম্প্রতি বলেছেন `আগামী তিন বছরে রাজ্য থেকে রপ্তানি বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ করার জন্য কৌশল গত পথ নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।’
জেলাস্তরে রপ্তানি পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোড় দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসায়ীদের সহায়তায় জেলা সদরগুলিতে রপ্তানি কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। রপ্তানির হার বাড়াতে রাজ্য সরকারের নজরে ইস্পাত, সোনা, দামি ধাতু, রেডিমেড পোশাক, কাঁচা সব্জি। এইসব পন্য বিদেশে রপ্তানি করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে লাভ তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। `রাজ্যের অগ্রগতি’ শীর্ষক রিপোর্টে জানান হয়েছে, শিল্পের পরিকাঠামো উন্নয়নে ২০১৭ সালে লগ্নির পরিমান ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১১ সালে লগ্নি হয়েছিল ২৪৩ কোটি টাকা। তৃণমূল সরকার গত সাত বছরে শিল্পের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে ৩৬০২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকেও শিল্পের উন্নয়নে লাভ মিলেছে। ২০১৫-১৮, এই চারবারের শিল্প সম্মেলন থেকে রাজ্য শিল্পে লগ্নির প্রস্তাব এসেছে ৯,৪৮,৫৬৮.৭৭ কোটি টাকা।