সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতেও ফিফার শাস্তির মুখে সুইজারল্যান্ডের দুই গোলদাতা গ্র্যানিট জাকা এবং জের্দান শাকিরি। এই দু’জন গোল করার আনন্দে ঈগলের মত ভঙ্গী কতে বিশেষ ইঙ্গিত করেন। যে ইঙ্গিত প্ররোচনামূলক বলে দাবি করেছিল সার্বিয়া। আর তার জেরেই ফিফা হয়তো দুই ম্যাচ নির্বাসিত করতে পারে এই দুই ফুটবলারকে! অন্য কারোর ভাবাবেগে আঘাত করার মত সেলিব্রেশন কেন এই দুই ফুটবলার করেছিলেন, তা নিয়েই ফিফা তদন্ত করছে।
গোল করার পর মনে হচ্ছিল, দু’হাত দিয়ে পাখির মতো কিছু বোঝাতে চেয়েছিলেন জাকা ও শাকিরি। বলা হচ্ছে, আসলে তাঁরা আলবেনিয়ার জাতীয় পতাকার প্রতীক ঈগলকেই বোঝাতে চেয়েছেন।
শাকিরির জন্ম কসোভোয়, আগে যা সার্বিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীন হয়। সার্বিয়া যদিও কসোভোর স্বাধীনতা স্বীকার করে না। দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্কও নেই। আর জাকার বাবা-মা আলবেনিয়ার বংশোদ্ভূত। জাকার ভাইও খেলেন আলবেনিয়ার জাতীয় দলের হয়ে। কসোভো যুদ্ধের পর শাকিরি এবং জাকার পরিবারকে আশ্রয় নিতে হয় সুইজারল্যান্ডে।
কসোভোর স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য জাকার বাবাকে প্রায় সাড়ে তিন বছর রাজনৈতিক বন্দিও থাকতে হয়েছিল তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায়। সেসময় সার্বিয়ান সেনাবাহিনী নিরীহ আলেবনীয়দের নির্বিচারে হত্যা করে। মনে করা হচ্ছে, তাই বিশ্বকাপে গোল করার পরে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা।
ম্যাচের আগেই সার্বিয়া আর আলবেনীয় বংশোদ্ভূত সুইস ফুটবলারদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। যার জেরেই এই বিতর্ক। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল করার জন্য আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট দুই গোলদাতার প্রশংসাও করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের শেষ ম্যাচ কোস্টারিকার বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে দুই ম্যাচ নির্বাসিত হলে এই দুই ফুটবলার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না। সুইজারল্যান্ড শেষ ষোলোয় গেলে সেটাও খেলতে পারবেন না।