নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, বিজেপি তথা এনডিএ জোটের শরিকি সমস্যা বেড়েই চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই জম্মু কাশ্মীরের সরকারে ক্ষমতায় থাকা পিডিপির সাথে বিজেপির মধ্যে অশান্তি চলছিল। বিজেপির তরফে পিডিপির সঙ্গে তাদের জোট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ঘোষণাও করা হয়। এর ফলে খুব স্বাবভিকভাবেই মোট ৮৭ সদস্যের কাশ্মীর বিধানসভায় মাত্র ২৮ বিধায়ককে নিয়ে সংখ্যালঘু হয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন মেহবুবা মুফতি।
অনেক আশা নিয়ে রমজান মাসে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। আশা ছিল এই উদ্যোগের ভাল প্রভাব পড়বে। কিন্তু সেই উদ্যোগেও অশান্তি বহাল থেকেছে। জঙ্গি কার্যকলাপও চলেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও সেই সুযোগ ব্যবহার করেছে। কাজেই সেই চুক্তি আর বহাল রাখতে রাজি হয়নি সরকার। মুফতি সরকারও আইন–শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেনি। সেকারণেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই কংগ্রেসের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। কংগ্রেস নেতা গুলামনবি আজাদ জানিয়েছেন, মেহবুবা মুফতিকে কোনও রকম সমর্থন তাঁরা জানাবেন না। বিজেপির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আজাদ বলেছেন, যাকিছু ঘটে ভালর জন্যই ঘটছে। কাশ্মীরের মানুষ এতে শান্তি পাবেন। গত তিন বছরে কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি মানুষ এবং সেনার মৃত্যু হয়েছে।
সরকার পরে যাওয়ার পরে ইস্তফা দিয়ে মেহবুবা মুফতি জানান, ‘ বিজেপির সঙ্গে আমরা রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য জোট গড়িনি। জোট গড়েছিলাম কাশ্মীরে শান্তি ফেরানো, প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্টিকন সফর, কাশ্মীরের প্রায় ১১ হাজার নির্দোষ যুবকের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার এবং অবশ্যই উভয় পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে সংঘর্ষ বিরতি। আমরা রমজানের আগে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করেছিলাম, তাও শান্তি ফেরানোর জন্যই।’