জাপান – ২
কলম্বিয়া – ১
শুরুতেই গোল পেয়ে গেলে একটা দল মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিপক্ষ আবার হতোদ্যম হয়ে পড়ে। তাও যদি আবার দশজনে হয়ে যেতে হয়। জাপান–কলম্বিয়া ম্যাচে উল্টোটা দেখা গেল। গোল খেয়ে আরও তেড়েফুড়ে আক্রমণে যেতে শুরু করল কলম্বিয়া। মিলল ফলও। বিরতির আগেই সমতা ফিরিয়ে আনলেন রাদামেল ফালকাওরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই গতি ধরে রাখতে পারলেন না রডরিগেজরা। ম্যাচটা জাপান জিতে নিল ২–১ ব্যবধানে।
শুরুতেই একটা দারুণ কাউন্টার অ্যাটাকে চলে গিয়েছিল জাপান। ওসাকার শটটা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন কলম্বিয়া গোলরক্ষক ডেভিড ওস্পিনা। কিন্তু ফিরতি বল কাগাওয়ার কাছে চলে আসে। তাঁর শটটা আচমকাই বক্সের মধ্যে হাতে লাগিয়ে দেন কার্লোস সাঞ্চেজ। ইচ্ছাকৃতভাবেই। অগত্যা লাল কার্ড। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম। মাত্র ৩ মিনিটেই ১০ জনে হয়ে পড়ল কলম্বিয়া। পেনাল্টি থেকে শিনজি কাগাওয়া এগিয়ে দিলেন।
গোল খেয়ে কিন্তু হতোদ্যম হয়ে পড়েনি পেকারম্যানের দল। ১১ মিনিটেই ফালকাও দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন। প্রথমার্ধেই আরও কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করলেন ফালকাও, কুয়াদ্রাদো। সমতা ফেরানোর জন্য ৩৯ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল কলম্বিয়াকে। বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করে গেলেন কুইন্টারো। বলটা গোললাইন পেরিয়েছে কিনা তা নিয়ে জাপান মৃদু প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। গোললাইন প্রযুক্তিতে পরিষ্কার বল গোললাইন টপকেছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এই কলম্বিয়াই গুটিয়ে যেতে শুরু করল। সে সুযোগে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে জাপান। একাধিক সুযোগ নষ্টের পর ৭৩ মিনিটে কর্ণার থেকে হেডে গোল করেন ওসাকো। বাকি সময়টা কলম্বিয়া সমতা ফেরানের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। রাশিয়া বিশ্বকাপ ইতিমধ্যেই অঘটনের সাক্ষী থেকেছে। ১০ জনের কলম্বিয়াকে হারিয়ে জাপান দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি করে রাখল।