ইজিপ্ট – ০
উরুগুয়ে -১
(গিমিনেজ)
ম্যাচের আগে নিশ্চয়তা দিলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে মিশরের প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন না মোহাম্মদ সালাহ। তাকে ছাড়াই লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানিদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করল ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটি। শুরু থেকে বল ছিল উরুগুয়ের দখলে। আস্তে আস্তে উভয় পক্ষই শুরু করে আক্রমণ। প্রথমার্ধ কাটে গোলশূন্য ভাবে। দ্বিতীয়ার্ধেও কোনো দল গোলের দেখা পাচ্ছিল না।
৮৯তম মিনিটে সুয়ারেজের থেকে বল পেয়ে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন এডিনসন কাভানি। অবশেষে ম্যাচের ৯০তম মিনিটে ম্যাচের উরুগুয়েকে গোলের মুখ দেখান হোসে গিমিনেজ। তার হেড থেকে দারুণ এক গোলেই ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল উরুগুয়ে। বিশ্বকাপে ৬ আসর পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মিসরের হৃদয় তখন ভাঙলেও সমর্থকদের মনটা মেঘে ঢাকা পড়েছে এর আগেই। ম্যাচের মূল একাদশে জায়গা হয়নি সালাহর। ৮২ মিনিটে আমর ওয়ারদার বদলে মাঠে নেমেছে রামাদান সোবহি। সেটা ছিল মিসরের তৃতীয় বদলি। ওতেই নিশ্চিত ছিল, ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা মিসরের সেরা তারকাকে আজ আর দেখা যাবে না। অথচ একজন সত্যিকারের গোলদাতার অভাবে ম্যাচে বারবার সুযোগ সৃষ্টি করেও ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারেনি মিসর। পূর্ণ সুস্থ সালাহ মাঠে থাকলেই হয়তো আজ ম্যাচের স্কোরলাইনটা অন্য রকম হতো।
পুরো ম্যাচে তিনটি সহজতম সুযোগ নষ্ট করেছেন উরুগুয়ের সবচেয়ে বড় তারকা লুইস সুয়ারেজ। সতীর্থরা আক্রমণে ওঠার সময় যখনই তার কাছে বল দিয়েছেন, তখনি সেটা নষ্ট করেছেন এই বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। ৮৮ মিনিটে এডিনসন কাভানির দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে এলেও মনোবল হারায়নি। পরের মিনিটেই বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক আদায় করলেন হোসে গিমিনেজ। তখনই শেষ হলো মিশরের প্রাণপণ লড়াই।