‘বিহারি বাবু’ হিসেবে পরিচিত শত্রুঘ্নর বয়স ৭২ বছর। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ২০১৪ সালে। এর আগেও তিনি দুবার সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও শত্রুঘ্ন সিনহাকে সেভাবে মূল্যায়ন করেনি দলটি।
এখনও তিনি বিজেপি সাংসদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কংগ্রেস বা আরজেডির হয়ে নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বুধবার তেজস্বী যাদব ও রাবড়ি দেবীর ইফতার পার্টিতে নিমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। সেখানেই এমন বোমা ফাটান শত্রুঘ্ন সিনহা।
২০১৪ সালে পাটনা সাহিব এলাকা থেকে জয়ী হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বছর চারেক আগের সেই জয়ের কথা ভোলেননি তিনি। বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি। তবে বিজেপি নয়, কংগ্রেস অথবা আরজেডির টিকিটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
তেজস্বী ও রাবড়ি দেবীর আয়োজিত ইফতারে শত্রুঘ্ন সিনহা লালু প্রসাদ যাদবকে নিজের বন্ধু বলে দাবি করেন। জানান, ইফতার তাদের সঙ্গে কাটাতে পেরে তিনি খুশি। লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে বাক্যালাপও করেন তিনি।
এর আগে একাধিকার বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। মোদির রাজত্বকালে দলের অন্দরে যে ক্ষোভ বাড়ছে, সে কথাও গোপন রাখেননি শত্রুঘ্ন। তবে তাঁর দাবি, বেশিরভাগ মন্ত্রী নিজের পদ ও আখের গোছানোর কারণে মুখ খুলছেন না। নোটবন্দি নিয়েও নিজের ক্ষোভের কথা সর্বসমক্ষে বলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।