কুকথার ঝড় তুললেন সিপিএম সাংসদ মহাম্মদ সেলিম। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পিছনে ফেলে দিলেন খেউড়ে। কুচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহে কয়েকদিন আগেই দুষ্কৃতীদের হাতে সিপিএম কর্মী রমজান মিয়ার খুন হওয়ার অভিযোগ ওঠে। মৃত কর্মীর বাড়িতে শনিবার দেখা করতে যান বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য তথা সাংসদ মহাম্মদ সেলিম, সিপিএম দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক জিবেশ সরকার সহ অন্যান্য দলীয় নেতারা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেলিম বলেন, ” যারা খুন করেছে সেই অপরাধীরা এখনও ধরা পড়েনি। কোনও কোনও পুলিশ অফিসার ওপরে খাঁকি উর্দি পরে আছে, প্যান্ট খুলে দেখবে ভিতরে তৃণমূলের ঝান্ডার আন্ডারপ্যান্ট পরে আছে। পুলিশের মদতেই আমাদের কমরেডদের গ্রামে ঢুকে মারছে।”
পুলিশকে আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএমের শীর্ষনেতার এহেন মন্তব্য শুনে প্রথমে অবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমনকি মুহূর্তেরও মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেলিমের আনকাট ভিডিও। প্রতিবাদে সরব হন সমাজের সর্বস্তরের রুচিসম্পন্ন সাধারণ মানুষ। যদিও সেলিমের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত দলের তরফ থেকে কাউকে বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। কার্যত ‘স্পিকটি নট’ আলিমুদ্দিন। সিপিএমের পলিটব্যুরোর এই সদস্য শুধুমাত্র পুলিসকেই আক্রমণ করে থেমে থাকেননি। তিনি কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেও। সেলিম বলেন, ‘আমি পুলিশকে দোষ দিচ্ছিনা। পুলিশের মাথায় ওপর যিনি বসে আছেন তিনি একটা রাক্ষুসীরাজ চালু করেছেন পশ্চিমবাংলায়।’ এর পরেই যোগ করেন রমজান মাসে কলকাতায় কেউ সাইনবোর্ড লাগিয়ে হিজাব পড়ে তামাশা করে রমজান মুবারক বলবেন। সাইনবোর্ড লাগিয়ে রমজান মুবারক হবে না। যে রমজান মানুষ মনে রাখবে রমজান খুন হয়ে ছিল বলে।
এরপরই তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন প্রণব বাবু কদিন আগেই আরএসএসের দফতরে চলে গেলেন, ওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘোমটা নামিয়ে বিজেপির উঠোনে গিয়ে নাচবে।
মহাম্মদ সেলিমের এই ধরণের মন্তব্যের পর সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ছি ছি করছে। যদিও মুজফফর আহমেদ ভবন সূত্রের খবর, সেলিমের এই বক্তব্যকে খুব একটা ভালো চোখে নেয়নি দলের একাংশ।
বহু বাম সমর্থক সেলিমের খেউড়ে ভীষণভাবে বিরক্ত।
(ভিডিও সৌজন্য:- খবরিয়া24)
(সৌজন্য- খবর 365দিন)