সাধারণ প্রান্তিক মানুষকে জড়িয়ে নিয়ে একের পর এক নজির সৃষ্টি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদীর গুজরাটকে পিছনে ফেলে বিশুদ্ধ দুধ উৎপাদনে দেশের সেরার শিরোপা পেল বাংলা। তার স্বীকৃতি হিসাবে মোদীর রাজ্য থেকে জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে আনল মমতার ‘সুন্দরিনী’। সুন্দরবনের গ্রামীণ মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে কয়েক বছর আগে পথচলা শুরু করেছিল সুন্দরবন দুগ্ধ সময়বায়ের ‘সুন্দরিনী ন্যাচারালস’ ব্র্যান্ড। ২০১৫ সালে যার নামকরণ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ব্র্যান্ডের দেশি গোরুর দুধ, ঘি, জঙ্গলের খাঁটি মধু, হাস-মুরগির ডিম, মুগ ডাল এবং দেশি চালের বাজারএখন ঊর্ধ্বমুখী। সেই লাভের টাকা সরাসরি জমা পড়ছেওই মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তার মাধ্যমে জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার হতদরিদ্র মহিলা। এই অনন্য অবদানের জন্য সুন্দরিনীকে দেশের আদর্শ ‘মডেল’ হিসাবে গণ্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদ ( ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড )। সুন্দরিনীর সাফল্যের জন্যই গুজরাট-সহ সারা দেশের প্রায় কয়েক হাজার দুগ্ধ সমবায়ের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অধীনস্থ সুন্দরবন দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদক সমবায় সঙ্ঘ লিমিটেড।
দুধের ব্যবসায় সাবলম্বী মহিলাদের কাজ পুরস্কৃত হয়েছে গুজরাটের আনন্দে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে গত ১ জুন গুজরাতের আনন্দে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত রাজ ও কৃষিমন্ত্রী শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা। ওই একই দিনে দিল্লিতে সর্বভারতীয় বণিক সংগঠন ফিকি-র (ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) পক্ষ থেকে সুন্দরবন দুগ্ধ সমবায়কে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মা মাটি মানুষের সরকারের মুকুটে আরও একটি সাফল্যের পালক যুক্ত হল। এর আগে ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে সাফল্যের নজির গড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে দরাজ সার্টিফিকেট পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু গুজরাত থেকে পুরস্কার ছিনিয়ে আনার ঘটনা এই প্রথম। কন্যাশ্রীর বিশ্ব খেতাবের পর এটাকে রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আরওএকটি বড় সাফল্য।