বিশ্বকাপের আগে নেইমারের ফিটনেস নিয়ে চিন্তায় ছিল ব্রাজিল শিবির। চোটের জন্য কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন ব্রাজিলের অধিনায়ক। মাঠে ফিরেই তিনি আগের মত ছন্দে খেলতে পারবেন তো? প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই। মাঠে নেমেই সেই সব প্রশ্নের জবাব দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পোস্টার বয়। ডি বক্সের ভিতরে নিঁখুত ফুটওয়ার্কে কার্যত একার হাতে ধ্বংস করে দিলেন ক্রেয়োশিয়ান ডিফেন্স। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে নেইমারের অনবদ্য গোলে ভর করেই প্রাক বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে ২-০’র ব্যবধানে ক্রোয়েশিয়াকে হারাল ব্রাজিল । শেষ মুহূর্তে গোল পেলেন ফিরমিনোও।
চোটের জন্য ম্যাচে নেইমারের খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। ম্যাচের দু’দিন আগেই ব্রাজিলিয় শিবির থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল প্রস্তুতি ম্যাচের শুরুতে নামবেন না অধিনায়ক। তাঁর পরিবর্তে ম্যাচের শুরু থেকে খেলবেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস, উইলিয়ান, কুটিনহোর মতন তারকারা। কিন্তু তিনজন নামী তারকা থাকা সত্ত্বেও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কেমন যেন ধারহীন দেখাচ্ছিল ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগকে। প্রথমার্ধে ক্রেয়োশিয়ার থেকে বলের দখল অনেকটা বেশি ছিল ব্রাজিলেরই । তা সত্ত্বেও সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না।
আর তাই কার্যত বাধ্য হয়েই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজের সেরা অস্ত্রকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন কোচ টিটে। মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনোর পরিবর্তে মাঠে নামেন নেইমার। গ্যাব্রিয়েল জেসুসকেও বসিয়ে দেন টিটে। পরিবর্তে মাঠে নামেন ফিরমিনো। এরপর চিত্রটা কিছুটা বদলায়। ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে ব্রাজিল। ৬৯ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো বল নিয়ে দ্রুত ডি বক্সে ঢুকলেন নেইমার। নিখুঁত ফুটওয়ার্কে তিনজন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারকে কার্যত ধরাশায়ী করে জোরালো শটে জালে বল জড়িয়ে দেয় নেইমার।
গোলের পর অবশ্য আবার কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবলে ফিরে আসে ব্রাজিল। অনেকটাই ফ্রন্টফুটে খেললেন মডরিচ, রাকিটিচরা। তবে, শেষ পর্যন্ত রক্ষণ শক্ত রেখে জয় নিশ্চিত করল সাম্বা ফুটবলাররা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একটি গোল দিয়ে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করে সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকার রবার্তো ফিরমিনো। তবে, জোড়া গোলে জয় পেলেও ব্রাজিলের ফুটবল মন ভরাতে পারল না সমর্থকদের।
তবে সবার নজর এখন রাশিয়াতে… নেইমারের হাতেই কি উঠবে ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ?