আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ২১তম এই আসর আয়োজনের গুরুদায়িত্ব পেয়েছে বিশ্ব মানচিত্রের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নানা ভাবে তৈরি হচ্ছে দেশটি। তারই ধারাবাহিকতায় রাশিয়ার ১১টি শহরে তৈরি করা হয়েছে ১২টি স্টেডিয়াম।
লুজিনিকি স্টেডিয়াম
শহর : মস্কো
ধারণক্ষমতা : ৮১,০০০
এবারের বিশ্বকাপের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরের সবচেয়ে আকষর্ণীয় ম্যাচ, ফাইনাল।
গ্রুপ ম্যাচ : রাশিয়া বনাম সৌদি আরব, জার্মানি বনাম মেক্সিকো, পর্তুগাল বনাম মরক্কো, ডেনমার্ক বনাম ফ্রান্স।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল
স্পার্তাক স্টেডিয়াম
শহর : মস্কো
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৩৬০
২০১৭ সালে কনফেডারেশন্স কাপের চারটি ভেন্যুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি ভেন্যু ছিল।
গ্রুপ ম্যাচ : আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ড, পোল্যান্ড বনাম সেনেগাল, বেলজিয়াম বনাম তিউনিশিয়া, সার্বিয়া বনাম ব্রাজিল।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬
কাজান অ্যারেনা
শহর : কাজান
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৩৭৯
ইউরোপের সবচেয়ে বড় আউটসাইড স্কিনটি এখানে প্রতিষ্ঠিত। স্টেডিয়ামের একপাশের আউটার দেয়াল জুড়ে এই স্ক্রিনটি স্থাপন করা হয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া, ইরান বনাম স্পেন, পোল্যান্ড বনাম কলম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া বনাম জার্মানি
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল।
সামারা অ্যারেনা
শহর : সামারা
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৫৬৮
২০১৮ সালে নতুন ভাবে এই স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে সামারা অ্যারেনা কসমস অ্যারেনা নামে পরিচিত ছিল।
গ্রুপ ম্যাচ : কোস্টারিকা বনাম সার্বিয়া, ডেনমার্ক বনাম অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে বনাম রাশিয়া, সেনেগাল বনাম কলম্বিয়া।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল
মরডোভিয়া অ্যারেনা
শহর : সারানস্ক
ধারণক্ষমতা : ৪৪,৪৪২
মস্কোর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মরডোভিয়ায় ৮ লাখ মানুষের বসবাস। কিন্তু তারপরেও এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি অংশ।
গ্রুপ ম্যাচ : পেরু বনাম ডেনমার্ক, কলম্বিয়া বনাম জাপান, ইরান বনাম পর্তুগাল, পানামা বনাম তিউনিশিয়া
নক আউট ম্যাচ : কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
রোস্তভ অ্যারেনা
শহর : রোস্তভ
ধারণক্ষমতা : ৪৫,০০০
ডন রিভার’ নদীর তীরে অবস্থিত রোস্তভ শহরের উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রোস্তভ অ্যারেনা নির্মাণ করা হয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড, উরুগুয়ে বনাম সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া বনাম মেক্সিকো, আইসল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়া
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬
ফিশৎ স্টেডিয়াম
শহর : সোচি
ধারণক্ষমতা : ৪৭,৬৫৯
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম আকর্ষণীয় প্রকল্প হিসেবে এই ফিশৎ অলিম্পিক স্টেডিয়াম বিবেচিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের জন্য মূলত এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা শুধুমাত্র ইনডোর অ্যারেনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : পর্তুগাল বনাম স্পেন, বেলজিয়াম বনাম পানামা, জার্মানি বনাম সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া বনাম পেরু।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল।
একাতেরিনবার্গ অ্যারেনা
শহর : ইয়েকাতেরিনবার্গ
ধারণক্ষমতা : ৩৫,৬৯৬
এবারের বিশ্বকাপের সম্ভবত সবচেয়ে বিচিত্র স্টেডিয়াম হিসেবে এটি পরিচিত পাবে। ইয়েকাতেরিনকবার্গের সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত এই স্টেডিয়ামটি এর আগে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হলেও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুনভাবে সংষ্কার করা হয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : মিশর বনাম উরুগুয়ে, ফ্রান্স বনাম পেরু, জাপান বনাম সেনেগাল, মেক্সিকো বনাম সুইডেন
নক আউট ম্যাচ : কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
ভলগোগ্রাদ অ্যারেনা
শহর : ভলগোগ্রাদ
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৫৬৮
বিশ্বকাপের জন্য বিশেষভাবে প্রস্ততকৃত এই স্টেডিয়ামটি অন্যতম বিশেষ ডিজাইনের জন্য সমধিক পরিচিত পাবে বলেই আয়োজকদের ধারণা।
গ্রুপ ম্যাচ : তিউনিশিয়া বনাম ইংল্যান্ড, নাইজেরিয়া বনাম আইসল্যান্ড, সৌদি আরব বনাম মিশর, জাপান বনাম পোল্যান্ড
নক আউট ম্যাচ : কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
নিজনি নোভগোরদ স্টেডিয়াম
শহর : নিজনি নোভগোরদ
ধারণক্ষমতা : ৪৪,৮৯৯
নদীর তীরে অবস্থিত আরেকটি স্টেডিয়াম। নিজনি নোভগোরদ স্টেডিয়াম ভলগা ও ওকা নদীর তীরে অবস্থিত। আলেক্সান্দার নেভস্কি ক্যাথেড্রাল এর পাশে মনোরোম পরিবেশে অবস্থিতি এই স্টেডিয়ামটিও প্রাকৃতির সৌন্দর্যের কারনে ইতোমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : সুইডেন বনাম দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড বনাম পানামা, সুইজারল্যান্ড বনাম কোস্টারিকা।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল।
কালিনিগ্রাদ স্টেডিয়াম
শহর : কালিনিনগ্রাড
ধারণক্ষমতা : ৩৫,২১২
২০১৮ সালে স্বাগতিক শহরগুলোর মধ্যে কালিনিনগ্রাদ অন্যতম সুন্দর একটি শহর। এটি রাশিয়ার মূল ভূখন্ডে অবস্থিত না হলেও পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ার উপনিবেশে অবস্থিত। স্টোকহোম ও ওয়ারশ’র কিছুটা পূর্বে মূলত এর অবস্থান।
গ্রুপ ম্যাচ : ক্রোয়েশিয়া বনাম নাইজেরিয়া, সার্বিয়া বনাম সুইজারল্যান্ড, স্পেন বনাম মরক্কো, ইংল্যান্ড বনাম বেলজিয়াম
নক আউট ম্যাচ : কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না
সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম
শহর : সেইন্ট পিটার্সবার্গ
ধারণক্ষমতা : ৬৮,১৩৪
স্টেডিয়ামটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর হলেও এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হতে দীর্ঘ নয় বছর সময় লেগেছে, যে কারনে বাজেটও বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : মরক্কো বনাম ইরান, রাশিয়া বনাম মিশর, ব্রাজিল বনাম কোস্টারিকা, নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।