গত চার বছরে মোদী সরকারের সময়ে ব্যাঙ্কে ৭৭,৫২১ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়েছে, যা পূর্বতন ইউপিএ-২ সরকারের সময়ের তুলনায় ৫৫,০০০ কোটি টাকা বেশী। এক আরটিআই-এর উত্তরে সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই তথ্য জানিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে আরটিআই-এর উত্তরে জানানো হয়েছে, গত চার বছরে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক, বিদেশী ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা, স্থানীয় ব্যাঙ্ক প্রভৃতি সমস্ত ক্ষেত্রে মোট ৭৭,৫২১ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়েছে এবং ৯,১৯৩ টি মামলা দায়ের হয়েছে এ নিয়ে। গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ইউপিএ-২ এর সময়ে ঋণ জালিয়াতি হয়েছিলো ২২,৪৪১ কোটি টাকা। মামলা দায়ের হয়েছিলো ১০,৬৫২ টি।
তথ্যে আরও বলা হয়েছে, শুধু মাত্র পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে মোদী সরকারের সময়ে ৬৮,৩৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়েছে। মনমোহন সিং এর প্রধানমন্ত্রীত্বে ইউপিএ-২ এর আমলে পাঁচ বছরে ঋণ জালিয়াতি হয়েছিল ১৯,১১৩ কোটি টাকা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই তথ্যে বিস্ময় প্রকাশ করে অর্থনীতিবিদদের প্রশ্ন, “কোথায় তদন্তকারী সংস্থা? কতজন জালিয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? কী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে? অর্থমন্ত্রীকে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি থেকে এই বিশাল লুটের কৈফিয়ত দিতেই হবে।”
মোদী সরকারের সময় কালে শুধু যে জালিয়াতি মামলার সংখ্যাই বেড়েছে তাই নয় ঋণ জালিয়াতিতে আগের সরকারের তুলনায় তিন গুণের বেশি টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা।
ওই আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ৫২০০টি। যার মধ্যে ২০১৪-১৫ সালে ঘটেছে ১৪৪৫ টি, ২০১৫-১৬ সালে ঘটেছে ১২৯৬টি, ২০১৬-১৭ সালে ১২১৩টি এবং ২০১৭-১৮ সালে ১২৪৬টি ঋণ জালিয়াতির ঘটনা।