কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান যে বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়ার মঞ্চ ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একই ভাবে এই বিরোধী জোটের মধ্যমণি যে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, তাও কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছেন রাজনৈতিক পণ্ডিতরা। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ভুয়ো খবর ভাইরাল করে বিতর্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। যা কোনও অংশেই সত্য নয়।
বেঙ্গালুরুতে মহীশূর ঘরানায় প্রাসাদোপম বিধানসৌধ বানানো হয়েছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিদের এর ফলে অতিরিক্ত পথ হেঁটে সৌধে পৌঁছতে হচ্ছিল। অনুষ্ঠানের দিন এএনআই নিউজ সংস্থার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যাতে বিধানসৌধে সামনে মঞ্চে পৌঁছনোর পর কর্নাটকের প্রথম মহিলা ডিআইজি নীলামণি রাজুকে কিছু বলতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া ও মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গেও একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, কিছু পথ হেঁটে আসার জন্যই ‘বিরক্ত’ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী।
শপথ অনুষ্ঠানের এই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এরপরই খবর রটে যায়, প্রথম মহিলা ডিআইজি নীলামণি রাজুর বদলির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল খবরে দাবি করা হয়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরক্তির শাস্তি’ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে রাজুকে। যদিও তা সত্য নয়। ভুয়ো খবর। ডিআইজি নীলামণি রাজুর দপ্তর থেকে ‘দ্য লজিক্যল ইন্ডিয়ান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, ‘কোনও বদলি হয়নি।’ পাশাপাশি এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী গতকাল জানান, ‘এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ তবে বিষয়টি নিয়ে পদস্থ পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ যে করা হয়েছিল, তা স্পষ্ট করেন তিনি।
উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা নীলামণি রাজু কর্নাটকের প্রথম মহিলা ডিজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। ১৯৮৩ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার ২০১৭ সালে দক্ষিণের এই রাজ্যে দায়িত্বে আসেন।
রাজনৈতিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলা না করতে পেরে কদর্য, কুৎসিত ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে রোজ। রাম-বাম এর সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল বাহিনী এই মিথ্যা প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।