আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ডিলিট উপাধি গ্রহণ করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে উচ্ছাসিত প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হল, রাজ্যে পরিবর্তনের পরেই বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুলকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কিছু করেছেন। তিনি জানান যে বহু দেশর বহু সম্মান পাওয়ার জন্য তার কাছে অনুরোধ আসে কিন্তু কাজী নজরুল ইসলামের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট উপাধি পাওয়ার ডাক শুনে একছুটে চলে এসেছেন তিনি। কাজী নজরুলের নামে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য এবং এমন গর্বের সম্মানে ভূষিত করার জন্য বাড়ে বারেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
ডিলিট পাওয়ার পর শেখ হাসিনার প্রথম মন্তব্য, ” এ সম্মান শুধু আমার নয় গোটা বাংলাদেশের। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের নামে নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সম্মান আমার জীবনের বড় পাওয়া।”
তবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ক্ষেত্রে রবিঠাকুরও উঠে আসেন তাঁর বক্তব্যে। শেখ হাসিনা বলেন, ” রবীন্দ্রনাথের গান যেমন আমাদের জাতীয় সংগীত, তেমনি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর গান হিসাবে নজরুলের চল,চল,চল ব্যবহৃত হয়।”
তিনি আরও বলেন, ” বাংলা ভাগ হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কিন্তু ভাগ হয়নি। তাই এখানে এলাম।”
শেখ হাসিনা বলেন যে তিনি যখন পুরুলিয়ায় এসেছিলেন তখন খুব করুন অবস্থা ছিল। ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে যিনি নজরুলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। শেষে নজরুল প্রসঙ্গ আবার টেনে বলেন, অসম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন নজরুল। সেই চেতনায় আমরা বাংলাদেশকে তৈরি করেছি। আমার এই সম্মান উৎসর্গ করলাম সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে, সমস্ত বাঙালিকে। ভারত-বাংলাদেশে বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবি হোক।