আগামীকাল মহেশতলার উপনির্বাচন। মহেশতলায় উন্নয়নকে সামনে রেখে প্রচারে ঝড় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস কোনোও প্রার্থী দেয়নি। মহেশতলার বিধায়ক কস্তুরী দাস মারা যাওয়ার পর এই আসনটি শুন্য হয়ে পড়ে।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করে প্রয়াত কস্তুরী দাসের স্বামী দুলাল দাসকে। তিনি মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যানও। স্বভাবতই পরিচিতির ভাবে তিনি অন্য প্রার্থীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে। সিপিএম না বিজেপি, কে দ্বিতীয় স্থান পাবে সে নিয়ে তিনি ভাবতেই নারাজ। নিশ্চিত জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। দুলালবাবুর বক্তব্য, গোটা রাজ্যের সঙ্গে মহেশতলায়ও আশাতীত উন্নয়ন হয়েছে। যেহেতু তিনি নিজে পুরসভার দায়িত্বে তাই শহরের উন্নয়নের বেশিরভাগ দায়ভার বইতে হচ্ছে তাঁকেই। উন্নয়নের পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শহরের ৮০ শতাংশ রাস্তা পাকা, বিদ্যুৎ, জল কোনও কিছুর অভাব নেই। সাত কিলোমিটার ফ্লাইওভারের কাজও প্রায় শেষ, বা প্রায় ২৫০-৩০০ বেডের হাসপাতাল হয়েছে।’’ প্রচুর কাজ হয়েছে মহেশতলায় পঞ্চায়েতে। বিজেপির ফল কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূলকে। তবে দুলাল দাসের দাবি, বিজেপি নিজের ক্ষমতায় বাড়ছে না। সিপিএম থেকে ভোট যাচ্ছে বিজেপির দিকে।
বিনাযুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ সিপিএম প্রার্থী প্রভাত চৌধুরী। প্রভাতবাবু প্রচার করছেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট। নষ্ট না করে সেই ভোট বামফ্রন্ট প্রার্থীকে দেওয়ার আবেদন করছেন তিনি।
অন্য দিকে পঞ্চায়েতে প্রধান বিরোধী হওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠছে গেরুয়া শিবির। তাদের প্রার্থী প্রাক্তন সিবিআই কর্তা সুজিত ঘোষ। তাঁর দাবি, প্রচারে সাড়া মিলছে। মহেশতলায় কে জিতবে তা সবাই জানে। আগ্রহ কে দ্বিতীয় হয় তাই নিয়ে।